Different Types of Development Theories is an essential topic for B.Ed., M.Ed., and Teacher Interview Questions, explaining various psychological theories that describe how individuals grow and learn. Understand key theories by Piaget, Erikson, Freud, and Vygotsky, highlighting cognitive, social, emotional, and moral development — crucial for effective teaching and learner-centered education.
Unit-III: Different types of Development Theories
- Cognitive development- Piaget’s theory and its educational implications.
- Psycho-sexual development – Freud’s Theory.
- Psycho social development – Erikson’s theory of psychosocial development.
- Moral and pro social development- Kohlberg’s theory
- Development of self-concept and personal identity
- Communication and speech development- paralinguistic and linguistic stages of development.
Cognitive Development- Piaget’s Theory
Cognitive Development – Jean Piaget’s Theory (জ্ঞানীয় বিকাশ – জাঁ পিয়াজের তত্ত্ব) 1936
- জাঁ পিয়াজে (Jean Piaget) ছিলেন একজন সুইস মনোবিজ্ঞানী, যিনি শিশুদের চিন্তা ও শেখার প্রক্রিয়া নিয়ে গভীর গবেষণা করেন।
- পিয়াজেঁর জ্ঞানমূলক বিকাশের তত্ত্বটি হার্বার্ট স্পেনসার এবং ডারউইনের অভিব্যক্তিবাদের দ্বারা প্রভাবিত।
- পিয়াজেঁর তাঁর তত্ত্বগঠনে দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয় ঘটিয়েছেন।
- পিয়াজেঁ বিকাশের দুটি দিকের কথা বলেছেন জ্ঞানমূলক বিকাশ এবং অনুভূতিমূলক বিকাশ ।
পিয়াজেঁর তত্ত্বের ভিত্তি :
- দার্শনিক ভিত্তি: “জ্ঞান মানুষের আবিষ্কৃত; জ্ঞান মানুষের জন্মগত সংগঠনের মধ্যে থাকে না বা আবিষ্কৃত বস্তুর মধ্যে থাকে না।”
- জৈবিক ভিত্তি :মানুষ সহজাতভাবে দুটি বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায় –
- এক) বংশগতভাবে প্রাপ্ত কিছু জৈবিক প্রতিক্রিয়া
- দুই) স্বতঃস্ফূর্ত সক্রিয়তা যার দ্বারা পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজন করে ।
Piaget’s View on Cognitive Development (পিয়াজের দৃষ্টিভঙ্গি): শিশুরা ধাপে ধাপে চিন্তাশক্তি গঠন করে। প্রতিটি ধাপের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং একটি ধাপ শেষ না হলে পরের ধাপে প্রবেশ সম্ভব নয়। জ্ঞানীয় বিকাশ একটি active and constructive process, যা শিশুর পরিবেশের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে। তিনি মানুষের জ্ঞানীয় বিকাশকে চারটি প্রধান ধাপে বিভক্ত করেন।
Four Stages of Cognitive Development (জ্ঞানীয় বিকাশের চারটি ধাপ):
১. সংবেদন-সঞ্চালকমূলক স্তর (Sensory Motor Stage ) – জন্ম থেকে ২ বছর
২. প্রাক সক্রিয়তার স্তর (Pre – Operational Stage) – ২ বছর থেকে ৭ বছর
৩. মূর্ত সক্রিয়তার স্তর (Concrete Operational Stage) – ৭ বছর থেকে ১১ বছর
৪. যৌক্তিক সক্রিয়তার স্তর (Formal Operational Stage ) – ১১ বছর থেকে ১৮ বছর
1. Sensory-Motor Stage: জন্ম থেকে প্রায় ২ বছর পর্যন্ত
বৈশিষ্ট্য:
- আত্মকেন্দ্রিকতা
- শিশু ইন্দ্রিয় (দেখা, শোনা, স্পর্শ, স্বাদ, ঘ্রাণ) ও মোটর কার্যকলাপ (চলা, ধরা, নাড়াচাড়া করা) ব্যবহার করে জগৎকে বোঝার চেষ্টা করে।
- বস্তুর স্থায়িত্ব সম্পর্ক বোধ না থাকা: তারা “object permanence” রাখে — অর্থাৎ কোনো বস্তু চোখের সামনে না থাকলেও তা অস্তিত্ব রাখে।
- ক্রমে তারা কার্যকারণ সম্পর্ক (cause-effect relationship) বুঝতে শেখে, যেমন বোতাম চাপলে শব্দ হবে।
শিক্ষাগত গুরুত্ব:
- এই পর্যায়ে শিশুদের খেলাধুলার মাধ্যমে শেখার সুযোগ দিতে হবে।
- সেন্সরি ও মোটর ক্রিয়ার সমন্বয় ঘটানোর জন্য উপযুক্ত উপকরণ (toy, blocks, rattles) ব্যবহার করা উচিত।
Pre-operational Stage: ২ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত
বৈশিষ্ট্য:
- সর্বপ্রাণবাদঃ সব বস্তুকেই সজীব বলে মনে করে
- বিলম্বিত অনুকরণ : পূর্বপ্রত্যক্ষ কাজকে অনুকরণ
- রূপক অভিনয় : ঘুমিয়ে পড়ার ভান
- অঙ্কন: কল্পনাকে অঙ্কনের মাধ্যমে রূপ দেওয়া
- কৃত্রিমতা: সবকিছুই মানুষের সৃষ্টি
- অবযুক্তিপূর্ণ বিচার : তারা কল্পনাশক্তির (imagination) ব্যবহার করে, কিন্তু তাদের চিন্তায় এখনো যুক্তি নেই।
- শিশুর ভাষা বিকাশ দ্রুত হয়।
- “Egocentric thinking” দেখা যায় — অর্থাৎ তারা অন্যের দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করতে পারে না।
- তারা জিনিসের বাহ্যিক দিকেই মনোযোগ দেয় (centration) এবং বিপরীত চিন্তা (reversibility) করতে অক্ষম।
শিক্ষাগত গুরুত্ব:
- শিক্ষককে চিত্র, গল্প ও খেলাধুলার মাধ্যমে ধারণা বোঝাতে হবে।
- শিশুর ভাষা বিকাশে উৎসাহ দিতে হবে।
- শিক্ষককে ধৈর্য ধরে তাদের ভুল বোঝার ক্ষমতা সংশোধন করতে হবে।
Concrete Operational Stage (নির্দিষ্ট ক্রিয়ামূলক পর্যায়): ৭ থেকে ১১ বছর পর্যন্ত
বৈশিষ্ট্য:
- যুক্তিপূর্ণ চিন্তাভাবনা: এই পর্যায়ে শিশুরা যুক্তিনিষ্ঠ চিন্তা শুরু করে, তবে তা নির্দিষ্ট বস্তু বা ঘটনার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকে।
- সংরক্ষণের ধারণা
- ক্রমপর্যায়
- শ্রেণিকরণের ধারণাসংখ্যার ধারণা
- তারা “Conservation” ধারণা বুঝতে শেখে — যেমন, জল এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে ঢাললে পরিমাণ বদলায় না।
- তারা বিপরীত ক্রিয়া (reversibility) ও শ্রেণিবিন্যাস (classification) ধারণা অর্জন করে।
- শিশুরা এখন আর egocentric নয়; তারা অন্যের মতামত বুঝতে পারে।
শিক্ষাগত গুরুত্ব:
- শিক্ষককে বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে নতুন ধারণা শেখাতে হবে।
- পরীক্ষণ, পর্যবেক্ষণ ও হাতে কলমে শেখার পরিবেশ দিতে হবে।
- গাণিতিক ও বৈজ্ঞানিক ধারণা শেখানোর এটি উপযুক্ত সময়।
Formal Operational Stage: ১১ বছর থেকে ঊর্ধ্বে
বৈশিষ্ট্য:
- চিন্তা এখন বিমূর্ত (abstract), যুক্তিসঙ্গত (logical), ও বৈজ্ঞানিক (scientific) হয়ে ওঠে।
- তারা অনুমান (hypothesis) তৈরি করতে ও তা পরীক্ষা করতে পারে।
- সমস্যা সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
- কিশোররা এখন নৈতিক, সামাজিক ও দার্শনিক প্রশ্নে চিন্তা করতে পারে।
শিক্ষাগত গুরুত্ব:
- শিক্ষককে আলোচনা, বিতর্ক, প্রকল্প ও গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
- বিমূর্ত ধারণা (যেমন গণিত, বিজ্ঞান, নৈতিকতা) শেখানোর সময় উদাহরণ ও যুক্তি ব্যবহার করা উচিত।
- শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তাধারা (critical thinking) বিকাশে সহায়তা করতে হবে।
Key Concepts in Piaget’s Theory (পিয়াজের তত্ত্বের মূল ধারণা):
- Schema (স্কিমা): মানুষের মনের মধ্যে তথ্য সংগঠনের একটি গঠন বা কাঠামো। শিশুরা নতুন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে স্কিমা গঠন ও সংশোধন করে।
- Assimilation (অ্যাসিমিলেশন): নতুন অভিজ্ঞতাকে বিদ্যমান স্কিমার সঙ্গে মেলানোর প্রক্রিয়া। যেমন, একটি শিশু প্রথমবার একটি বিড়াল দেখে সেটিকে “কুকুর” বলে ডাকে কারণ তার স্কিমায় চার পায়ের প্রাণী মানেই কুকুর।
- Accommodation (অ্যাকমোডেশন): নতুন অভিজ্ঞতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পুরনো স্কিমা পরিবর্তন করা। শিশুটি পরে বুঝতে পারে, বিড়াল ও কুকুর আলাদা প্রাণী।
- Equilibration (সমতা স্থাপন):
Assimilation ও Accommodation-এর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে শেখার প্রক্রিয়াকে চালিয়ে যাওয়াই Equilibration।
Educational Implications of Piaget’s Theory (পিয়াজের তত্ত্বের শিক্ষাগত গুরুত্ব):
- Activity-based Learning:
শিক্ষণ প্রক্রিয়া এমনভাবে সাজানো উচিত যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই কাজের মাধ্যমে শিখতে পারে। - Child-centered Education:
শিক্ষক নয়, শিক্ষার্থীই শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত। - Learning by Doing:
শেখার সময় শিশুদের হাতেকলমে অভিজ্ঞতা দেওয়া জরুরি। - Readiness Principle:
শিশু যখন মানসিকভাবে প্রস্তুত, তখনই নতুন ধারণা শেখানো উচিত। - Use of Concrete Materials:
বাস্তব বস্তু, চার্ট, মডেল ও খেলাধুলা শিক্ষার অংশ করা উচিত। - Individual Differences Respect:
প্রতিটি শিশুর বিকাশগত গতি ভিন্ন, তাই শেখানোর কৌশলও ভিন্ন হতে হবে। - Problem-solving and Reasoning:
শিক্ষককে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে শিশুরা চিন্তা করবে, প্রশ্ন করবে ও যুক্তি দিয়ে সমাধান করবে।
Criticism of Piaget’s Theory (পিয়াজের তত্ত্বের সমালোচনা):
- পিয়াজে শিশুদের সক্ষমতাকে কিছুটা কম করে দেখিয়েছিলেন; অনেক শিশু নির্দিষ্ট বয়সের আগেই উন্নত চিন্তা করতে পারে।
- সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রভাবের গুরুত্ব তিনি যথেষ্ট দেননি।
- তাঁর গবেষণা ছিল সীমিত নমুনার ওপর ভিত্তি করে।
- পর্যায়গুলির সীমানা সবসময় স্পষ্ট নয় — এক শিশুর বিকাশ আরেকজনের থেকে ভিন্ন হতে পারে।
উপসংহার (Conclusion): পিয়াজের জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্ব শিশুদের চিন্তা, শেখা ও বোঝার প্রক্রিয়া সম্পর্কে এক বিপ্লবাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। তিনি দেখিয়েছেন যে, শিক্ষা একটি active process, যেখানে শিশুরা নিজেরাই জ্ঞান নির্মাণ করে।
শিক্ষকদের জন্য এই তত্ত্ব অত্যন্ত মূল্যবান, কারণ এটি শেখায়—
“শিক্ষা কেবল তথ্য দেওয়া নয়, বরং চিন্তা করার ক্ষমতা জাগিয়ে তোলা।”
এই কারণে পিয়াজের তত্ত্ব আজও Educational Psychology, B.Ed./M.Ed. coursework, এবং Teacher Training Programs-এর অন্যতম ভিত্তি হিসেবে গণ্য হয়।
Psycho-sexual Development – Freud’s Theory
1905
মানব আচরণের উৎস কী — এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে Sigmund Freud (সিগমুন্ড ফ্রয়েড) মনোবিজ্ঞানের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন।
তিনি বলেন, মানুষের আচরণ কেবল যুক্তি বা চেতনার দ্বারা নয়, বরং অচেতন মনের (Unconscious Mind) দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়।
ফ্রয়েড মানুষের মানসিক বিকাশকে মনোকাম (Psychosexual) দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেন। তাঁর মতে, শৈশবকালেই ব্যক্তিত্বের মূল গঠন সম্পূর্ণ হয় এবং এর প্রতিটি ধাপ যৌন-আকাঙ্ক্ষা বা libido (লিবিডো)-র বিকাশের সঙ্গে সম্পর্কিত।
Psychosexual Development বলতে বোঝায়, শিশুর মানসিক বিকাশের সেই প্রক্রিয়া যেখানে তার যৌনশক্তি বা লিবিডো শরীরের বিভিন্ন অংশে (erogenous zones) কেন্দ্রীভূত হয় এবং ব্যক্তিত্বের গঠনকে প্রভাবিত করে
Freud’s Structure of Personality (ব্যক্তিত্বের গঠন):
ফ্রয়েড ব্যক্তিত্বকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করেছেন —
Id (ইড):
- এটি জন্মগত।
- এটি আনন্দ নীতিতে (Pleasure Principle) পরিচালিত হয়।
- এটি অচেতন (Unconscious) স্তরে কাজ করে এবং তাত্ক্ষণিক চাহিদা পূরণ চায়। উদাহরণ: “আমি এখনই চাই।”
Ego (ইগো):
- এটি বাস্তবতার নীতি (Reality Principle) অনুসারে কাজ করে।
- এটি ইডের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবতার সঙ্গে সমন্বয় করে। উদাহরণ: “আমি চাই, কিন্তু এটি করার জন্য উপযুক্ত সময় ও পদ্ধতি খুঁজব।”
Superego (সুপার ইগো):
- এটি সমাজ, নীতি ও মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করে।
- এটি নৈতিক নীতি অনুযায়ী ইগোকে নিয়ন্ত্রণ করে। উদাহরণ: “আমি এটি করব না, কারণ এটি ভুল।”
এই তিনটি শক্তি মানুষের মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করে
Stages of Psychosexual Development (মনোকাম বিকাশের ধাপসমূহ):
ফ্রয়েডের মতে, একজন ব্যক্তি পাঁচটি প্রধান ধাপ অতিক্রম করে। প্রতিটি ধাপে শিশুর লিবিডো শরীরের নির্দিষ্ট অংশে কেন্দ্রীভূত থাকে, যাকে Erogenous Zone বলা হয়।
1. Oral Stage (মৌখিক পর্যায়): জন্ম থেকে প্রায় ১ বছর পর্যন্ত
বৈশিষ্ট্য:
- শিশুর প্রধান আনন্দের উৎস মুখ (mouth)।
- চোষা, কামড়ানো, ও জিনিস মুখে নেওয়া শিশুর আনন্দ দেয়।
- এটি খাদ্যগ্রহণ ও মাতৃস্নেহের সঙ্গে সম্পর্কিত।
2. Anal Stage (মলাশয় পর্যায়) বয়স: প্রায় ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত
বৈশিষ্ট্য:
- শিশুর লিবিডো এখন মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণের উপর কেন্দ্রীভূত।
- শিশুর আনন্দ মলধারণ বা নির্গমন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে।
- অভিভাবকরা এই সময়ে “toilet training” শেখান।
3. Phallic Stage (যৌনাঙ্গ পর্যায়): প্রায় ৩ থেকে ৬ বছর পর্যন্ত
বৈশিষ্ট্য:
- শিশুর লিবিডো এখন যৌনাঙ্গের দিকে কেন্দ্রীভূত হয়।
- এই পর্যায়ে শিশু নিজ শরীর সম্পর্কে সচেতন হয়।
- এই সময়েই Oedipus Complex (ছেলেদের ক্ষেত্রে) ও Electra Complex (মেয়েদের ক্ষেত্রে) দেখা দেয়।
Oedipus Complex: ছেলে শিশুর তার মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও বাবার প্রতি ঈর্ষা অনুভব করা। পরবর্তীতে সে বাবার সঙ্গে নিজের পরিচয় মেলায় এবং তার মূল্যবোধ গ্রহণ করে।
Electra Complex: মেয়ে শিশুর তার বাবার প্রতি ভালোবাসা ও মায়ের প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনুভব করা। শেষে সে মায়ের সঙ্গে নিজের পরিচয় স্থাপন করে।
4. Latency Stage (গুপ্ত বা নীরব পর্যায়): প্রায় ৬ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত
বৈশিষ্ট্য:
- সামাজিক মূল্যবোধ, নীতি ও বন্ধুত্বের বোধ বিকাশ পায়।
- লিবিডো এখন নিস্তব্ধ থাকে (sublimation)।
- শিশুর মনোযোগ পড়াশোনা, খেলাধুলা ও সামাজিক সম্পর্কের দিকে যায়।
শিক্ষাগত গুরুত্ব:
- এটি শিক্ষার জন্য উপযুক্ত সময়।
- শিশুকে দলগত কাজ, সহানুভূতি ও সামাজিক দায়িত্ব শেখানো উচিত।
5. Genital Stage (প্রজনন পর্যায়): কৈশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত
বৈশিষ্ট্য:
- লিবিডো এখন পরিপক্ব যৌন সম্পর্ক ও সামাজিক সংযোগের দিকে বিকশিত হয়।
- ব্যক্তি এখন বাস্তব প্রেম, বন্ধুত্ব ও পরিবার গঠনে আগ্রহী।
- সামাজিক দায়িত্ববোধ ও আত্মনিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পায়।
শিক্ষাগত গুরুত্ব:
- নৈতিক ও যৌন শিক্ষা প্রদান জরুরি।
- আত্মনিয়ন্ত্রণ, পরোপকারিতা ও দায়িত্ববোধ শেখানো উচিত।
Educational Implications (শিক্ষাগত গুরুত্ব):
- Early Childhood Care:
শৈশবকালেই ব্যক্তিত্বের মূল ভিত্তি গড়ে ওঠে, তাই শিশুদের আবেগীয় চাহিদা পূরণ করা জরুরি। - Parental Role:
অভিভাবকদের উচিত শিশুর চাহিদা সঠিকভাবে বোঝা, অতিরিক্ত কঠোরতা বা শিথিলতা পরিহার করা। - Teacher’s Sensitivity:
শিক্ষককে শিশুদের বিকাশগত পর্যায় অনুযায়ী আচরণ বুঝে শিক্ষণ কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। - Sex Education:
কৈশোরে শিক্ষার্থীদের যৌন সচেতনতা ও নৈতিকতা সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে হবে। - Balanced Discipline:
শৃঙ্খলা শেখাতে হবে ভালোবাসা ও সহানুভূতির সঙ্গে, যাতে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়।
Criticism of Freud’s Theory (ফ্রয়েডের তত্ত্বের সমালোচনা):
- Overemphasis on Sex:
ফ্রয়েড মানুষের বিকাশে যৌন প্রবণতার ভূমিকা অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। - Lack of Scientific Evidence:
তাঁর তত্ত্ব পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে, পরীক্ষামূলক নয়। - Gender Bias:
Electra Complex-এর ব্যাখ্যা অসম্পূর্ণ ও নারী-মনোবিজ্ঞানের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। - Deterministic View:
তিনি মনে করেন শৈশবের অভিজ্ঞতা ব্যক্তিত্বকে স্থায়ীভাবে নির্ধারণ করে, যা সবসময় সত্য নয়।
তবে তাঁর তত্ত্ব মনোবিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটিয়েছে এবং আধুনিক মনোসমীক্ষণ (Psychoanalysis)-এর ভিত্তি স্থাপন করেছে।
উপসংহার (Conclusion): ফ্রয়েডের মনোকাম বিকাশ তত্ত্ব আমাদের শেখায় যে, মানুষের আচরণ, ব্যক্তিত্ব, ও মানসিক বিকাশ শৈশবের অভিজ্ঞতার ওপর গভীরভাবে নির্ভরশীল। তিনি মনোবিজ্ঞানে অচেতন মন (Unconscious Mind) ও শৈশব অভিজ্ঞতা (Childhood Experience)-এর গুরুত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
Psycho Social Development – Erikson’s Theory
1950
এরিক এরিকসন (Erik Erikson) ছিলেন একজন জার্মান-আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী, যিনি ফ্রয়েডের মনোকাম বিকাশ তত্ত্ব (Psychosexual Theory)-এর সম্প্রসারণ করে মনোসামাজিক বিকাশ তত্ত্ব (Psychosocial Development Theory) প্রবর্তন করেন।
ফ্রয়েড মানুষের বিকাশকে “যৌন শক্তি (libido)”-র উপর ভিত্তি করে ব্যাখ্যা করেছিলেন, কিন্তু এরিকসন মনে করেন মানুষের বিকাশ কেবল শারীরিক বা যৌন প্রবণতার দ্বারা নয়, বরং সামাজিক সম্পর্ক, অভিজ্ঞতা, ও পরিবেশের প্রভাবেও ঘটে।
তাঁর তত্ত্বে জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে মানুষকে একটি নির্দিষ্ট “সঙ্কট (Crisis)” বা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, যার সফল সমাধান তার ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়তা করে।
Erikson’s 8 Stages of Psychosocial Development (এরিকসনের ৮টি মনোসামাজিক বিকাশের ধাপ):
1. Infancy (0–1 year): Trust vs. Mistrust
মূল সংকট: বিশ্বাস বনাম অবিশ্বাস
মূল গুণ: Hope (আশা)
বৈশিষ্ট্য:
- শিশুর প্রথম অভিজ্ঞতা হয় মায়ের সান্নিধ্যে।
- শিশুর খাদ্য, স্নেহ, ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে তার মধ্যে “বিশ্বাস” (Trust) জন্মায়।
- যদি সে অবহেলিত হয়, তাহলে “অবিশ্বাস” (Mistrust) তৈরি হয়।
ফলাফল:
সফল হলে শিশু অন্যের প্রতি আস্থা রাখে।
অসফল হলে সে অনিরাপদ ও সন্দেহপ্রবণ হয়।
2. Early Childhood (1–3 years): Autonomy vs. Shame and Doubt
মূল সংকট: আত্মনিয়ন্ত্রণ বনাম লজ্জা ও সংশয়
মূল গুণ: Will (ইচ্ছাশক্তি)
বৈশিষ্ট্য:
- শিশুর হাঁটা, কথা বলা ও নিজের কাজ করার ইচ্ছা জন্মায়।
- বাবা-মা যদি শিশুকে স্বাধীনভাবে চেষ্টা করতে দেয়, তবে “স্বাধীনতা” বা “Autonomy” গড়ে ওঠে।
- অতিরিক্ত বাধা দিলে “লজ্জা ও সংশয়” (Shame & Doubt) তৈরি হয়।
ফলাফল:
সফল হলে শিশু আত্মবিশ্বাসী ও স্বনির্ভর হয়।
অসফল হলে সে ভীত ও নির্ভরশীল হয়।
3. Play Age (3–6 years): Initiative vs. Guilt
মূল সংকট: উদ্যোগ বনাম অপরাধবোধ
মূল গুণ: Purpose (উদ্দেশ্য)
বৈশিষ্ট্য:
- শিশুর কল্পনা ও সৃজনশীল চিন্তা বিকাশ পায়।
- সে নতুন কাজ করতে আগ্রহী হয়।
- অভিভাবকরা যদি এই আগ্রহকে উৎসাহ দেয়, তবে “উদ্যোগ” (Initiative) জন্মায়।
- যদি বাধা দেয়, তবে শিশুর মধ্যে “অপরাধবোধ” (Guilt) তৈরি হয়।
ফলাফল:
সফল হলে নেতৃত্ব ও সৃজনশীলতা বিকশিত হয়।
অসফল হলে শিশু আত্মগ্লানিতে ভোগে।
4. School Age (6–12 years): Industry vs. Inferiority
মূল সংকট: কর্মনিষ্ঠা বনাম হীনমন্যতা
মূল গুণ: Competence (দক্ষতা)
বৈশিষ্ট্য:
- শিশু এখন বিদ্যালয়ে যায়, নিয়ম শেখে, কাজ সম্পাদন করে।
- সফলভাবে কাজ সম্পন্ন করলে সে আত্মবিশ্বাসী হয় (Industry)।
- যদি তাকে অক্ষম বা ব্যর্থ বলা হয়, তবে সে হীনমন্য (Inferior) বোধ করে।
ফলাফল:
সফল হলে পরিশ্রমী ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
অসফল হলে আত্মবিশ্বাস হারায় ও নিষ্ক্রিয় হয়।
5. Adolescence (12–18 years): Identity vs. Role Confusion
মূল সংকট: আত্মপরিচয় বনাম ভূমিকা বিভ্রান্তি
মূল গুণ: Fidelity (নিষ্ঠা)
বৈশিষ্ট্য:
- কিশোর তার “আমি কে?” এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজে।
- সে নিজের লক্ষ্য, মূল্যবোধ ও পেশাগত দিক নিয়ে চিন্তা করে।
- সমাজের দিকনির্দেশনা পেলে “পরিচয়” (Identity) গড়ে ওঠে।
- বিভ্রান্তি পেলে “Role Confusion” তৈরি হয়।
ফলাফল:
সফল হলে ব্যক্তি আত্মপরিচয় ও স্থিরতা পায়।
অসফল হলে সে দিকহীন ও বিভ্রান্ত হয়।
6. Young Adulthood (18–40 years): Intimacy vs. Isolation
মূল সংকট: আন্তরিকতা বনাম একাকীত্ব
মূল গুণ: Love (ভালোবাসা)
বৈশিষ্ট্য:
- ব্যক্তি প্রেম, বন্ধুত্ব ও দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন করে।
- যদি সে বিশ্বাস ও আন্তরিকতা বজায় রাখতে পারে, তবে “Intimacy” গড়ে ওঠে।
- ব্যর্থ হলে “Isolation” বা একাকীত্বে ভোগে।
ফলাফল:
সফল হলে স্থায়ী সম্পর্ক ও ভালোবাসা গড়ে ওঠে।
অসফল হলে একাকীত্ব ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতা দেখা দেয়।
7. Middle Adulthood (40–65 years): Generativity vs. Stagnation
মূল সংকট: সৃষ্টিশীলতা বনাম স্থবিরতা
মূল গুণ: Care (যত্ন)
বৈশিষ্ট্য:
- ব্যক্তি পরিবার, সন্তান, সমাজ ও কর্মক্ষেত্রে অবদান রাখতে চায়।
- যদি সে সমাজের উন্নতিতে কাজ করে, তবে “Generativity” তৈরি হয়।
- যদি সে আত্মকেন্দ্রিক হয়, তবে “Stagnation” দেখা দেয়।
ফলাফল:
সফল হলে যত্নশীল ও দায়িত্ববান হয়।
অসফল হলে আত্মকেন্দ্রিক ও উদাসীন হয়।
8. Late Adulthood (65+ years): Integrity vs. Despair
মূল সংকট: সততা বনাম হতাশা
মূল গুণ: Wisdom (প্রজ্ঞা)
🧩 বৈশিষ্ট্য:
- ব্যক্তি জীবনের দিকে ফিরে তাকায়।
- যদি সে তার জীবনকে অর্থবহ মনে করে, তবে “Integrity” গড়ে ওঠে।
- যদি অনুশোচনায় ভোগে, তবে “Despair” তৈরি হয়।
🧠 ফলাফল:
সফল হলে ব্যক্তি শান্তি ও আত্মতৃপ্তি অনুভব করে।
অসফল হলে হতাশা ও মৃত্যুভয় জন্মায়।
Educational Implications (শিক্ষাগত গুরুত্ব):
- Child-Centered Education:
প্রতিটি শিক্ষার্থীর বিকাশের স্তর অনুযায়ী শেখানোর পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হবে। - Emotional Support:
শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস, আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা উচিত। - Guidance and Counseling:
কৈশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পরিচয় ও দিকনির্দেশনার জন্য পরামর্শমূলক ব্যবস্থা জরুরি। - Positive Reinforcement:
প্রশংসা ও উৎসাহ শিক্ষার্থীর আত্মসম্মান বৃদ্ধি করে। - Moral and Social Education:
বিদ্যালয়ে নৈতিকতা, সহানুভূতি, ও সমাজসেবার মূল্য শেখানো প্রয়োজন।
উপসংহার (Conclusion): এরিকসনের মনোসামাজিক বিকাশ তত্ত্ব আমাদের শেখায় যে, মানুষের বিকাশ একটি আজীবন চলমান প্রক্রিয়া, যা কেবল শারীরিক নয়, বরং সামাজিক সম্পর্ক, সংস্কৃতি ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে গঠিত হয়।
Moral and Pro social Development- Kohlberg’s Theory
কোহেল বর্গের নৈতিক বিকাশ তত্ত্ব (Moral Development of Kohlberg) 1958
লরেন্স কোলবার্গ (Lawrence Kohlberg) ছিলেন একজন আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী, যিনি Jean Piaget-এর জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্বের (Cognitive Development Theory) উপর ভিত্তি করে নৈতিক বিকাশের তত্ত্ব (Moral Development Theory) তৈরি করেন।
- কোহেলবার্গ পিয়াজের পদ্ধতির কিছুটা পরিবর্তন করেন।
- নৈতিক বিকাশ প্রজ্ঞার বিকাশের উপর নির্ভরশীল আর শিশুরা প্রজ্ঞার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে তার চারপাশের নানান ঘটনার ভালো মন্দ বিচার করতে শেখে, তার ভিত্তিতেই নৈতিক বিকাশের সূত্রপাত ঘটে ।
- কোহেলবার্গ নৈতিক বিকাশের তিনটি স্তর এবং ছটি পর্যায়ের কথা বলেছেন
Three Levels and Six Stages of Moral Development (নৈতিক বিকাশের তিনটি স্তর ও ছয়টি ধাপ):
LEVEL 1: Pre-Conventional Level(প্রাক প্রথাগত নৈতিকতা): ৪ থেকে ৯ বছর
এই স্তরে নৈতিকতা মূলত বাইরের প্রভাব (শাস্তি বা পুরস্কার) দ্বারা পরিচালিত হয়। শিশুরা সমাজের নিয়ম বোঝে না; বরং তারা নিজেদের স্বার্থ ও পরিণাম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়।
Stage 1: Obedience and Punishment Orientation (আজ্ঞা ও শাস্তি ভিত্তিক নৈতিকতা)
- শিশু বুঝে যে নিয়ম ভাঙলে শাস্তি হবে, তাই সে শাস্তি এড়াতে সঠিক আচরণ করে।
- নৈতিকতার ধারণা শাস্তির ভয় দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। উদাহরণ: “আমি মিথ্যা বলব না, না হলে শিক্ষক রাগ করবেন।”
Stage 2: Instrumental-Relativist Orientation (ব্যক্তিগত লাভ ভিত্তিক নৈতিকতা)
- শিশু ভাবে, যদি কোনো কাজ তার নিজের উপকারে আসে, তবে সেটি সঠিক।
- পারস্পরিক লেনদেন বা “give and take” ভাবনা দেখা যায়। উদাহরণ: “আমি তোমাকে সাহায্য করব, যদি তুমি আমাকেও সাহায্য করো।”
LEVEL 2: Conventional Level (প্রথাগত নৈতিকতা) ৯ থেকে ১৫ বছর
এই স্তরে ব্যক্তি সমাজের নিয়ম, পরিবারের প্রত্যাশা ও কর্তব্যের ধারণাকে গুরুত্ব দেয়। নৈতিকতা এখন সমাজে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার জন্য।
Stage 3: Good Boy–Good Girl Orientation (ভালো ছেলে/ভালো মেয়ে মানসিকতা)
- ব্যক্তি ভাবে, সমাজ বা পরিবারের চোখে ভালো মানুষ হওয়াই নৈতিকতা।
- অন্যের অনুমোদন (approval) পাওয়ার ইচ্ছা প্রবল থাকে। উদাহরণ: “আমি সত্য বলব, কারণ তাতে সবাই আমাকে ভালো বলবে।”
Stage 4: Law and Order Orientation (আইন ও শৃঙ্খলা ভিত্তিক নৈতিকতা)
- ব্যক্তি বুঝতে শেখে যে সমাজের নিয়ম মানা সবার দায়িত্ব।
- কর্তব্য, আইন ও সামাজিক শৃঙ্খলাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। উদাহরণ: “আমি চুরি করব না, কারণ এটি সমাজের নিয়মের বিরুদ্ধে।”
LEVEL 3: Post-Conventional Level (উত্তর প্রথাগত নৈতিকতা): সাধারণত কৈশোরের পর থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়।
এই স্তরে ব্যক্তি নিজের নীতিগত মূল্যবোধ ও নৈতিক আদর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়। নৈতিকতা এখন স্বাধীন চিন্তা, ন্যায় ও মানবতার ওপর নির্ভরশীল।
Stage 5: Social Contract Orientation (সামাজিক চুক্তি ও ন্যায়বোধ ভিত্তিক নৈতিকতা)
- ব্যক্তি বোঝে যে সমাজের আইন মানুষের কল্যাণের জন্য, কিন্তু প্রয়োজনে তা পরিবর্তনযোগ্য।
- ন্যায়, মানবতা ও সমানাধিকারের ধারণা গুরুত্ব পায়। উদাহরণ: “যদি কোনো আইন মানুষের ক্ষতি করে, তবে সেই আইন বদলানো উচিত।”
Stage 6: Universal Ethical Principle Orientation (সর্বজনীন নৈতিক নীতি ভিত্তিক নৈতিকতা)
- ব্যক্তি নিজের নীতিগত বিবেক (conscience) অনুযায়ী আচরণ করে।
- সত্য, ন্যায়, মানবতা ও স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ মূল্য হিসেবে দেখে। উদাহরণ: “আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াব, যদিও তাতে ক্ষতি হয়।”
Educational Implications (শিক্ষাগত গুরুত্ব): “নৈতিক শিক্ষা মানে শুধুমাত্র নিয়ম শেখানো নয়, বরং হৃদয়ে মানবতা, ন্যায় ও সহানুভূতির বীজ রোপণ করা।
- Moral Education in Curriculum:
শিক্ষায় নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সংযোজন করা উচিত, যাতে শিক্ষার্থীরা সঠিক-ভুল বিচার করতে শেখে। - Discussion of Moral Dilemmas:
শ্রেণিকক্ষে নৈতিক দ্বন্দ্ব (moral dilemma) নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে — যেমন, “হেইঞ্জ dilemma” ব্যবহার করে শিক্ষার্থীর চিন্তাশক্তি উন্নত করা। - Development of Reasoning:
শিক্ষার্থীদের যুক্তি দিয়ে চিন্তা করতে উৎসাহ দেওয়া উচিত, শুধুমাত্র আদেশ মেনে চলা নয়। - Teacher as Role Model:
শিক্ষককে নৈতিক আদর্শ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে, কারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের আচরণ অনুসরণ করে। - Social Responsibility:
সমাজসেবামূলক কাজ ও দলগত কার্যকলাপের মাধ্যমে নৈতিক ও সমাজোপকারী মনোভাব গড়ে তোলা উচিত। - Freedom and Choice:
শিক্ষার্থীদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিতে হবে, যাতে তারা নৈতিক দায়িত্ব শিখে।
উপসংহার (Conclusion): কোলবার্গের নৈতিক বিকাশ তত্ত্ব মানুষের চিন্তা ও নৈতিক বিচারবুদ্ধির বিকাশ সম্পর্কে এক গভীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। এটি দেখায়, নৈতিকতা জন্মগত নয়, বরং ধীরে ধীরে যুক্তি, অভিজ্ঞতা ও সামাজিক প্রভাবের মাধ্যমে গঠিত হয়। Moral and Prosocial Development শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুধু ভালো মানুষ হওয়ার নয়, বরং সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল ও মানবিক মনোভাব গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
Development of Self-concept and Personal Identity
শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ বিকাশ শুধু জ্ঞান অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তার নিজের সম্পর্কে সচেতনতা, আত্মবিশ্বাস, আত্মসম্মান এবং নিজের সামাজিক ভূমিকা বোঝার ক্ষমতাই প্রকৃত শিক্ষা। এই আত্ম-চেতনা বা Self-Concept এবং ব্যক্তিত্বের সচেতনতা বা Personal Identity হলো মানব বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ দিক।
Meaning of Self-Concept (স্ব-ধারণার অর্থ): একজন ব্যক্তি নিজের সম্পর্কে কী ভাবে, কী অনুভব করে, এবং নিজেকে কেমন ভাবে মূল্যায়ন করে — তার সামগ্রিক ধারণা।
অর্থাৎ, স্ব-ধারণা হলো নিজের সম্পর্কে বিশ্বাস, চিন্তা, ও অনুভূতির সমষ্টি। এটি গঠিত হয় অভিজ্ঞতা, পরিবার, শিক্ষক, সহপাঠী ও সমাজের প্রতিক্রিয়া থেকে।
উদাহরণ: একজন শিশু যদি বারবার শুনে — “তুমি খুব বুদ্ধিমান”, তবে তার Self-Concept ইতিবাচক হবে। আবার, যদি বলা হয় — “তুমি কিছুই পারো না”, তবে নেতিবাচক Self-Concept তৈরি হবে।
Meaning of Personal Identity (ব্যক্তিগত পরিচয়ের অর্থ): “আমি কে?”, “আমার জীবনের উদ্দেশ্য কী?”, “আমি সমাজে কী ভূমিকা পালন করি?” — এই প্রশ্নগুলির উত্তরই ব্যক্তিগত পরিচয়।
এটি আত্ম-পরিচয়ের একটি উন্নত স্তর, যেখানে ব্যক্তি নিজের বিশ্বাস, মূল্যবোধ, লক্ষ্য, ও সামাজিক ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন হয়।
Difference between Self-Concept and Personal Identity (পার্থক্য):
| বিষয় | Self-Concept | Personal Identity |
|---|---|---|
| অর্থ | নিজেকে সম্পর্কে ধারণা | সমাজে নিজের ভূমিকা ও পরিচয় |
| গঠনকাল | শৈশব থেকে ধীরে ধীরে গঠিত | কৈশোরে স্পষ্টভাবে গঠিত |
| মূল উৎস | পারিবারিক ও বিদ্যালয় অভিজ্ঞতা | সমাজ, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ |
| প্রকৃতি | মানসিক ও আবেগীয় | সামাজিক ও নৈতিক |
| উদাহরণ | “আমি ভালো ছাত্র।” | “আমি একজন দায়িত্বশীল নাগরিক।” |
Stages of Development of Self-Concept (স্ব-ধারণার বিকাশের ধাপ):
Infancy (0–2 years):
- শিশু নিজের শরীর ও আশেপাশের জগত সম্পর্কে সচেতন হতে শুরু করে।
- আয়নায় নিজেকে চিনতে পারে।
- “আমি” ধারণার সূচনা হয়।
Early Childhood (2–6 years):
- শিশু নিজের নাম, লিঙ্গ, পছন্দ-অপছন্দ বোঝে।
- সে ভাবে “আমি কী করতে পারি?” — এই আত্ম-চেতনা গড়ে ওঠে।
School Age (6–12 years):
- বিদ্যালয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে তুলনা করে নিজের সক্ষমতা মূল্যায়ন করে।
- প্রশংসা বা সমালোচনার মাধ্যমে Self-Concept আরও গঠিত হয়।
Adolescence (12–18 years):
- “আমি কে?”, “আমার ভবিষ্যৎ কী হবে?” — এই প্রশ্নের মাধ্যমে ব্যক্তিগত পরিচয়ের বোধ জাগে।
- সহপাঠী, সমাজ ও শিক্ষক — এদের প্রতিক্রিয়া তার পরিচয় গঠনে প্রভাব ফেলে।
Adulthood (18+ years):
- ব্যক্তি নিজের মূল্যবোধ, আদর্শ, পেশা ও সামাজিক ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন হয়।
- স্থিতিশীল Self-Concept ও Personal Identity গঠিত হয়।
Factors Influencing the Development of Self-Concept and Identity (প্রভাবক উপাদানসমূহ):
Family Environment (পারিবারিক পরিবেশ):
- ভালোবাসা, সমর্থন ও প্রশংসা শিশুর ইতিবাচক Self-Concept গড়ে তোলে।
- অবহেলা বা কঠোরতা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
School and Teachers (বিদ্যালয় ও শিক্ষক):
- শিক্ষক শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখেন।
- সাফল্যের প্রশংসা ও ব্যর্থতায় সহানুভূতি শিশুর আত্মধারণা উন্নত করে।
Peer Group (সহপাঠী দল):
- সহপাঠীদের গ্রহণযোগ্যতা ও সমর্থন আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করে।
- প্রত্যাখ্যান বা উপহাস নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
Society and Culture (সমাজ ও সংস্কৃতি):
- সামাজিক মূল্যবোধ, লিঙ্গ ভূমিকা ও সাংস্কৃতিক প্রত্যাশা পরিচয় গঠনে প্রভাব ফেলে।
Media Influence (গণমাধ্যম):
- আজকের শিশু ও কিশোররা টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেদের মূল্যায়ন শেখে।
Theories Explaining Self and Identity Development (তত্ত্বভিত্তিক ব্যাখ্যা):
1. Erikson’s Theory (মনোসামাজিক বিকাশ তত্ত্ব):
এরিকসনের মতে, কৈশোর পর্যায়ে (Adolescence: Identity vs. Role Confusion) ব্যক্তি নিজের পরিচয় খুঁজে পেতে শুরু করে।
এই ধাপে সফল হলে Identity Achievement হয়, আর ব্যর্থ হলে Role Confusion দেখা দেয়।
2. Carl Rogers’ Self-Theory:
রজার্স বলেন, প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে একটি “Real Self” ও একটি “Ideal Self” থাকে।
যখন এই দুটির মধ্যে সামঞ্জস্য থাকে, তখন ব্যক্তিত্ব সুস্থ থাকে; অসামঞ্জস্য থাকলে মানসিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
3. Social Learning Theory (Bandura):
মানুষ অন্যদের আচরণ দেখে নিজের Self-Concept তৈরি করে।
মডেলিং ও অনুকরণ (imitation) Self-concept গঠনে গুরুত্বপূর্ণ।
Educational Implications (শিক্ষাগত গুরুত্ব):
- Positive Reinforcement:
শিক্ষার্থীর প্রতিটি ছোট সাফল্যকে প্রশংসা করা উচিত, যাতে তার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। - Democratic Classroom Environment:
শিক্ষক যেন প্রত্যেককে সমান গুরুত্ব দেন। এতে শিশুদের মধ্যে আত্মসম্মান ও গ্রহণযোগ্যতার বোধ জন্মায়। - Guidance and Counseling:
কৈশোরে পরিচয় সংকটে ভোগা শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত পরামর্শ প্রদান প্রয়োজন। - Individual Recognition:
প্রতিটি শিক্ষার্থীর বিশেষ দক্ষতা (talent) ও আগ্রহ চিহ্নিত করে উৎসাহ দিতে হবে। - Role of Co-curricular Activities:
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা, ও নেতৃত্বমূলক কাজ আত্মবিশ্বাস ও পরিচয় গঠনে সহায়ক।
Communication and speech development
যোগাযোগ ও ভাষা বিকাশ মানুষের ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। একটি শিশু জন্মের পর থেকেই চারপাশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শেখে — কখনও কান্না, হাসি, চোখের ইশারা, আবার কখনও শব্দের মাধ্যমে।
Communication (যোগাযোগ) মানে ভাব, অনুভূতি, ও তথ্যের আদান-প্রদান; আর Speech (ভাষা) হল সেই যোগাযোগের মৌখিক প্রকাশ।
ভাষা ও যোগাযোগ শিশুর সামাজিক, মানসিক, জ্ঞানীয় ও আবেগীয় বিকাশের ভিত্তি গঠন করে।
যোগাযোগ (Communication):
যোগাযোগ হল ভাব, চিন্তা, অনুভূতি, ও তথ্যের আদান-প্রদান প্রক্রিয়া, যা শব্দ, অঙ্গভঙ্গি, মুখভঙ্গি বা লিখিত ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
ভাষা (Speech):
ভাষা হল চিন্তা ও অনুভূতির মৌখিক প্রকাশ, যা মানব কণ্ঠযন্ত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
যোগাযোগ ও ভাষা বিকাশের ধাপসমূহ :
শিশুর ভাষা ও যোগাযোগের বিকাশ ধাপে ধাপে ঘটে — সহজ থেকে জটিল রূপে।
(i) Pre-linguistic Stage (০–১ বছর):
- শিশু শব্দ না জেনেও কান্না, হাসি, চাহনি ও আওয়াজের মাধ্যমে যোগাযোগ করে।
- ২–৩ মাসে শিশুর “কু-কু”, “আ-আ” ধরনের শব্দ উৎপন্ন শুরু হয়।
- ৬–৯ মাসে “মা-মা”, “দা-দা” ধরনের শব্দ উচ্চারণ শুরু হয়।
- চোখের দৃষ্টি, হাসি, অঙ্গভঙ্গি – এ সময়ের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম।
(ii) Single-word Stage (১–২ বছর):
- শিশু এক শব্দের মাধ্যমে পুরো অর্থ বোঝাতে শেখে (যেমন – “দুধ” মানে “আমি দুধ চাই”)।
- প্রায় ৫০–১০০টি শব্দ শেখে।
(iii) Two-word Stage (২–৩ বছর):
- দুটি শব্দ একত্রে ব্যবহার করে (যেমন – “মা আসো”, “চাই বল”)।
- ভাষার প্রাথমিক ব্যাকরণ গঠন শুরু হয়।
(iv) Early Multi-word Stage (৩–৪ বছর):
- শিশুরা ছোট বাক্য তৈরি করতে শেখে, যেমন “আমি স্কুলে যাব”।
- প্রশ্ন করতে শেখে, শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি পায়।
(v) Complex Sentence Stage (৪–৬ বছর):
- বাক্য দীর্ঘ ও ব্যাকরণসম্মত হয়।
- গল্প বলা, নিজের চিন্তা প্রকাশ করা শুরু করে।
- উচ্চারণ ও স্বরভঙ্গি উন্নত হয়।
(vi) School-age Stage (৬ বছর বা তার বেশি):
- ভাষা যুক্তিপূর্ণ, সামাজিক ও শিক্ষামূলক হয়ে ওঠে।
- শিশুরা ধারণা, অনুভূতি ও মতামত প্রকাশে দক্ষ হয়ে ওঠে।
- পড়া, লেখা ও বোঝার ক্ষমতা গড়ে ওঠে।
ভাষা ও যোগাযোগ বিকাশে প্রভাবিতকারী উপাদানসমূহ :
১. জৈবিক কারণ: মস্তিষ্কের বিকাশ, শ্রবণশক্তি, এবং কণ্ঠযন্ত্রের কার্যক্ষমতা।
২. পারিবারিক পরিবেশ: ভালোবাসাপূর্ণ, উৎসাহদায়ক পরিবার শিশুর ভাষা বিকাশে সহায়তা করে।
৩. অভিভাবকের ভূমিকা: শিশুর সঙ্গে কথা বলা, গল্প বলা, গান শোনানো ভাষা শেখার প্রাথমিক ধাপ।
৪. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ: শিশুর চারপাশের ভাষা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ ভাষা গঠনে প্রভাব ফেলে।
৫. বিদ্যালয় ও শিক্ষক: শিক্ষকরা ভাষা ও যোগাযোগ দক্ষতা বিকাশে মূল ভূমিকা পালন করেন।
৬. আবেগীয় নিরাপত্তা: নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসপূর্ণ পরিবেশে শিশু ভালোভাবে কথা বলতে শেখে।
শিক্ষকের ভূমিকা :
শিক্ষকরা শিশুদের যোগাযোগ ও ভাষা দক্ষতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- গল্প বলা, কবিতা আবৃত্তি, ভূমিকাভিনয় ইত্যাদির মাধ্যমে ভাষার ব্যবহার উৎসাহিত করা।
- পঠন ও উচ্চারণ অনুশীলন করানো।
- সতর্কভাবে শ্রবণ ও প্রতিক্রিয়া দেওয়া শেখানো।
- দুর্বল ভাষা-শিক্ষার্থীদের আলাদা সহায়তা প্রদান।
- অডিও-ভিজ্যুয়াল উপকরণ ব্যবহার করে শেখার পরিবেশ তৈরি করা।
- শ্রেণিকক্ষে ভাষা সমৃদ্ধ পরিবেশ (Language-rich environment) গঠন করা।
ভাষা ও যোগাযোগ বিকাশে সাধারণ সমস্যা :
- বিলম্বিত ভাষা (Delayed Speech): শিশু দেরিতে কথা বলা শুরু করে।
- তোতলামি বা জড়তা (Stammering/Stuttering): কথা বলতে কষ্ট হয় বা বারবার শব্দ আটকে যায়।
- উচ্চারণ সমস্যা (Articulation Problem): শব্দ বা ধ্বনি সঠিকভাবে বলতে না পারা।
- শ্রবণ সমস্যা (Hearing Impairment): শোনার অক্ষমতা ভাষা বিকাশে বাধা দেয়।
- অটিজম বা অন্যান্য বিকাশগত সমস্যা: সামাজিক যোগাযোগে ঘাটতি দেখা যায়।
ভাষা ও যোগাযোগ বিকাশের গুরুত্ব :
- সামাজিক সম্পর্ক গঠনে সহায়ক।
- চিন্তা ও যুক্তি বিকাশে সহায়ক।
- আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে।
- পড়াশোনা ও শিক্ষায় সাফল্য আনে।
- আবেগ প্রকাশ ও মানসিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক।
Read More:
Course-I (1.1.1): Childhood and Growing Up
- 1st Half Development and its Characteristics
- Unit-I: Growth and developmental pattern of learners
- Unit-II: Stages of development
- Unit-III: Different types of Development
- Unit-IV: Individual differences
- Unit-V: Development of personality
- 2nd Half Aspects of Development
- Unit-I: Various aspects related to developmen
- Unit-II: Motivation
- Unit-III: Attention and Interest
- Unit-IV: Intelligence
- Unit-V: Creativity








