Crystallization of Impure Sample of Copper Sulphate

5/5 - (1 vote)

প্র্যাকটিক্যাল: কপার সালফেটের পুনঃকেলাসন (Recrystallization of Copper Sulphate)

Aim (উদ্দেশ্য):

এই পরীক্ষায় আমি অশুদ্ধ কপার সালফেটের নমুনা গরম জলে দ্রবীভূত করে, অদ্রাব্য অশুদ্ধি সরিয়ে এবং ধীরে শীতল করে এর বিশুদ্ধ নীল স্ফটিক (blue vitriol) সংগ্রহ করেছি।

Theory (তত্ত্ব):

পুনঃকেলাসন (Crystallization) হলো কঠিন পদার্থ পরিশোধনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। কপার সালফেট গরম জলে অধিক দ্রবণীয়, কিন্তু ঠান্ডা জলে কম দ্রবণীয়। তাই-

  • গরম জলে দ্রবীভূত করলে অশুদ্ধ নমুনা সম্পূর্ণ বা প্রায় সম্পূর্ণ দ্রবীভূত হয়,
  • অদ্রাব্য অশুদ্ধি গরম অবস্থায় পরিস্রাবণে দূর হয়ে যায়,
  • গরম সম্পৃক্ত দ্রবণ ঠান্ডা করলে নীল রঙের সুন্দর কেলাস তৈরি হয়।

নতুন কেলাস হবে বিশুদ্ধ, কারণ অশুদ্ধি দ্রবণে থেকে যায়।

Apparatus (যন্ত্রপাতি):

  1. 250 mL বিকার
  2. 100 mL পোর্সেলিন বেসিন
  3. কাচদণ্ড
  4. ফানেল
  5. ফিল্টার পেপার
  6. ধৌতি বোতল
  7. ত্রিপদ স্ট্যান্ড, বলয়
  8. বালিগাহ
  9. বুনসেন বার্নার/স্পিরিট ল্যাম্প
  10. ওয়াচ গ্লাস
  11. শোষক কাগজ ও শোষকাধার

Chemicals (দ্রব্যাদি):

  1. অশুদ্ধ কপার সালফেট (CuSO₄·5H₂O) — 10 g
  2. পাতিত জল – প্রয়োজনমতো

Procedure (পদ্ধতি):

১. অশুদ্ধ নমুনা দ্রবীভূত করলাম:

আমি একটি ২৫০ mL বিকারে প্রায় ৫০–৬০ mL গরম জল রাখলাম। অল্প অল্প করে CuSO₄ নমুনা যোগ করলাম এবং কাচদণ্ড দিয়ে নাড়তে থাকলাম। কপার সালফেট গরম জলে দ্রবীভূত হয়ে নীল রঙের ঘন দ্রবণ তৈরি হলো।

২. অদ্রাব্য অশুদ্ধি দূর করলাম:

দ্রবণটি এখনো গরম অবস্থায় ফানেল ও ফিল্টার পেপার ব্যবহার করে পরিস্রাবণ করলাম।

  • অদ্রাব্য অশুদ্ধি ফিল্টার পেপারে রয়ে গেল,
  • আর পরিষ্কার নীল পরিস্রুত দ্রবণটি পোর্সেলিন বেসিনে সংগ্রহ করে রাখলাম।

৩. দ্রবণ ঘন করলাম (Concentration):

পোর্সেলিন বেসিনটিকে ত্রিপদ স্ট্যান্ডে রেখে নিচে বুনসেন বার্নার জ্বালালাম। বাষ্পীভবনের মাধ্যমে যখন প্রায় অর্ধেক দ্রবণ বাষ্পীভূত হয়ে গেল, তখন কাচদণ্ডে এক ফোঁটা দ্রবণ নিয়ে ফুঁ দিয়ে পরীক্ষা করলাম – নীল দানা জমতে শুরু করলে বুঝলাম কেলাসন বিন্দু এসেছে।

৪. দ্রবণ ঠান্ডা হতে দিলাম:

অবিলম্বে উত্তাপ বন্ধ করলাম। বেসিনের মুখে ওয়াচ গ্লাস দিয়ে ঢেকে ধীরে ধীরে ঘরের তাপমাত্রায় ঠান্ডা হতে দিলাম। কিছুক্ষণ পর বেসিনের তলায় ও পাশে নীল রঙের সুন্দর স্ফটিক (Blue Crystals) জমতে লাগল।

৫. স্ফটিক সংগ্রহ করলাম:

স্ফটিকগুলো একটি ফানেল দিয়ে পরিস্রাবণ করলাম। ফিল্টার পেপারে থাকা স্ফটিকগুলোকে ধৌতি বোতল দিয়ে একটু ঠান্ডা পাতিত জল ছিটিয়ে ধুয়ে নিলাম।

৬. স্ফটিক শুকালাম:

স্ফটিকগুলোকে শোষক কাগজের ওপর রেখে অতিরিক্ত জল শুষে নিলাম। এরপর শোষকাধারে রেখে সম্পূর্ণ শুকাতে দিলাম।

৭. স্ফটিক সংরক্ষণ করলাম:

শুকানোর পর প্রাপ্ত বিশুদ্ধ নীল তামা সালফেট স্ফটিক সেলোফেন কাগজে মুড়ে বা কর্কযুক্ত টেস্টটিউবে ভরে লেবেল লাগিয়ে রাখলাম।

Observation Table (পর্যবেক্ষণ সারণি):

বিবরণমান
অশুদ্ধ নমুনার ওজন10 g
গরম জলে দ্রবণীয়তাউচ্চ
ঠান্ডা জলে দ্রবণীয়তাকম
স্ফটিকের রংনীল
প্রাপ্ত স্ফটিকের গড় ওজন9.0 – 9.2 g

Result (ফলাফল):

এই পরীক্ষায় আমি অশুদ্ধ ৫ g তামা সালফেট নমুনা থেকে প্রায় 9.0 থেকে 9.2 g বিশুদ্ধ নীল স্ফটিক লাভ করেছি। স্ফটিকগুলো আকারে বড়, স্বচ্ছ ও উজ্জ্বল নীল রঙের ছিল, যা সফল স্ফটিকীকরণের প্রমাণ।

Precautions (সতর্কতা):

  1. পরিস্রাবণ অবশ্যই গরম অবস্থায় করতে হবে।
  2. পোর্সেলিন বেসিনে উত্তাপ দিতে হবে ধীরে।
  3. দ্রবণ অতিরিক্ত ঘন করলে স্ফটিক ছোট হয়ে যায়।
  4. ধীরে ধীরে ঠান্ডা করতে হবে, দ্রুত ঠান্ডা করলে খারাপ স্ফটিক হয়।
  5. সব যন্ত্রপাতি পরিষ্কার ব্যবহার করতে হবে।
  6. স্ফটিককে বেশি ঘষা বা চাপ দেয়া যাবে না—ভেঙে যাবে।
  7. ফিল্টার করার সময় নীল দ্রবণ যেন ছিটকে না যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top