Enhance student safety with essential knowledge on common health problems and First Aid in School. Learn how timely first aid, awareness, and preventive care can reduce risks and save lives on school premises. Perfect for teachers, students, and school staff seeking health and safety guidance.
প্রাথমিক চিকিৎসা হলো এমন একটি তাৎক্ষণিক প্রাথমিক সহায়তা যা অসুস্থ বা আহত কোন ব্যক্তিকে প্রথমে দেওয়া হয়। ছোটখাটো আঘাত বা অসুস্থতার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগী সুস্থ হতে পারে। তবে গুরুতর বা জীবন হানিকর অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা রোগীকে সাময়িকভাবে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে, যতক্ষণ না চিকিৎসক বা হাসপাতালে চিকিৎসা পদ্ধতি তাকে না দেয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি দিতে হবে। সঠিকভাবে প্রয়োগ করা প্রাথমিক চিকিৎসা অনেক সময় জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে অনেকটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
প্রাথমিক চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্যকে অনেক 3P বলা হয়-
- Promote recovery (সুস্থতা ত্বরান্বিত করা)
- Prevent the situation from worsening (অবস্থার অবনতি রোধ করা)
- Preserve life (জীবন রক্ষা করা)
বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হলে খুব ভালো হয়। তবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে, কোন সচেতন ব্যক্তিও প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রদান করতে পারেন। গুরুতর অবস্থায়, চিকিৎসক বা চিকিৎসা সহায়তা আসা পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। বিলম্বিত প্রাথমিক চিকিৎসা অনেক সময় মানুষের জীবনে দুঃখ ডেকে আনে। অপরপক্ষে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করলে অনেক সময় একজন মানুষের জীবন রক্ষা পেতে পারে।

সমসাময়িক কালে প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োজন অপরিসীম।
কিছু সাধারণ দুর্ঘটনা ও জরুরি পরিস্থিতি
যেগুলোর জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত, সেগুলো হলোঃ
সাধারণ আঘাত ও দুর্ঘটনা
- কাটা বা ছেঁড়া (Cuts and wounds)
- চামড়া উঠে যাওয়া (Grazes)
- রক্তপাত (Bleeding)
- পোড়া বা দগ্ধ হওয়া (Burns and scalds)
- সূর্যের তাপে পোড়া (Sunburn)
- হাড় ভাঙা (Fracture)
- মচকানো (Sprain)
- স্থানচ্যুতি (Dislocation)
- মাথায় আঘাত (Head injury)
- চোখে আঘাত (Eye injury)
- নাকে আঘাত বা রক্তপাত (Nose injury/bleeding)
- দাঁতে বা মুখে আঘাত (Dental injury)
- কানে কিছু ঢোকা (Foreign object in ear)
- নাকে কিছু ঢোকা (Foreign object in nose)
- চোখে কিছু ঢোকা (Foreign object in eye)
- কাটা বা ধারালো বস্তুতে আঘাত (Knife or glass cut)
- পেরেক বা কাঁটা বিঁধে যাওয়া (Puncture wounds)
- ভারী বস্তু পড়ে চোট লাগা (Crush injury)
- রাস্তার দুর্ঘটনা (Road accident)
- পড়ে যাওয়া (Fall injury)
বিদ্যুৎ ও পরিবেশজনিত দুর্ঘটনা
- বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া (Electric shock)
- বজ্রপাতের আঘাত (Lightning strike)
- অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হওয়া (Fire accident burns)
- ধোঁয়া শ্বাসে ঢোকা (Smoke inhalation)
- গ্যাস লিক বা বিষক্রিয়া (Gas leak poisoning)
- রাসায়নিক পোড়া (Chemical burns)
- হিট স্ট্রোক (Heat stroke)
- হিট এক্সহস্টন (Heat exhaustion)
- হাইপোথারমিয়া (Hypothermia)
- ঠান্ডাজনিত অসাড়তা (Frostbite)
প্রাণী ও পোকামাকড় সম্পর্কিত দুর্ঘটনা
- সাপের কামড় (Snake bite)
- কুকুরের কামড় (Dog bite)
- বিড়ালের আঁচড় (Cat scratch)
- মৌমাছির কামড় (Bee sting)
- বোলতার কামড় (Wasp sting)
- মশার কামড় (Mosquito bite)
- ছারপোকার কামড় (Bedbug bite)
- মাছের কাঁটার আঘাত (Fish spine injury)
- বিছে বা মাকড়সার কামড় (Scorpion/spider bite)
- বন্য প্রাণীর আক্রমণ (Wild animal attack)
শ্বাস ও রক্ত সঞ্চালন সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা
- হার্ট অ্যাটাক (Heart attack)
- হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (Cardiac arrest)
- স্ট্রোক বা প্যারালাইসিস (Stroke)
- শ্বাসরোধ (Choking)
- শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা অ্যাটাক (Asthma attack)
- ডুবে যাওয়া (Drowning)
- শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া (Respiratory arrest)
- অতিরিক্ত রক্তপাত (Severe bleeding)
- নাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়া (No pulse)
- ফুসফুসে পানি জমা (Pulmonary edema)
পেট ও পাচনতন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা
- খাদ্যে বিষক্রিয়া (Food poisoning)
- সাধারণ বিষক্রিয়া (General poisoning)
- ওষুধের অতিরিক্ত মাত্রা (Drug overdose)
- পেট ব্যথা (Stomach pain)
- বমি ও বমি বমি ভাব (Vomiting/nausea)
- ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা (Diarrhea)
- কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation)
- পেট ফেঁপে যাওয়া (Bloating/gas)
- পেটের ক্র্যাম্প (Abdominal cramps)
- হজমের সমস্যা (Indigestion)
স্নায়ু ও মানসিক সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া (Fainting)
- খিঁচুনি বা ফিট (Seizures/epilepsy)
- হঠাৎ মাথা ঘোরা (Dizziness)
- মানসিক শক (Emotional shock)
- আতঙ্কে অজ্ঞান (Panic fainting)
- ঘুমন্ত অবস্থায় খিঁচুনি (Sleep seizure)
- হঠাৎ বিভ্রান্তি বা স্মৃতিভ্রংশ (Confusion/memory loss)
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ (Stress attack)
- আত্মহত্যার চেষ্টা (Suicidal attempt — emergency help)
- হঠাৎ চেতনা হারানো (Loss of consciousness)
রক্ত ও ত্বক সংক্রান্ত অবস্থা
- রক্তস্বল্পতা থেকে অজ্ঞান হওয়া (Anemia fainting)
- ত্বকের ফুসকুড়ি (Skin rash)
- চুলকানি (Itching)
- অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া (Allergic reaction)
- অ্যানাফাইল্যাক্সিস (Anaphylaxis)
- ফোঁড়া বা ঘা (Boils and abscesses)
- সংক্রমিত ক্ষত (Infected wound)
- পোকামাকড়ের কামড়ে ফোলা (Swelling from bites)
- সান অ্যালার্জি (Sun allergy)
- ফুসফুস বা শ্বাসনালীর অ্যালার্জি (Respiratory allergy)
দৈনন্দিন জীবনে ঘটা অন্যান্য জরুরি অবস্থা
- রক্তচাপ কমে যাওয়া (Low blood pressure)
- রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া (High blood pressure)
- ডায়াবেটিসের কারণে হঠাৎ শর্করা কমে যাওয়া (Hypoglycemia)
- রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়া (Hyperglycemia)
- অতিরিক্ত ক্লান্তি (Exhaustion)
- ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা (Dehydration)
- পেশিতে টান ধরা (Muscle cramps)
- হাঁটুর ব্যথা বা মচকানো (Knee injury)
- কাঁধ স্থানচ্যুতি (Shoulder dislocation)
- কোমরে ব্যথা বা মচকানো (Back pain or strain)
বিদ্যালয় ও গৃহস্থালির সাধারণ দুর্ঘটনা
- পিচ্ছিল মেঝেতে পড়ে যাওয়া (Slip and fall)
- ধারালো জিনিসে কাটা (Sharp object cut)
- রান্নাঘরে পোড়া (Kitchen burns)
- গরম জল বা চা পড়ে পোড়া (Hot water burn)
- গৃহস্থালি রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসা (Household chemical exposure)
- খেলাধুলায় আঘাত (Sports injury)
- সিঁড়ি থেকে পড়ে যাওয়া (Falling from stairs)
- ভারী জিনিস তোলার সময় পিঠে ব্যথা (Back strain)
- শিশুর গিলতে না পারা অবস্থায় শ্বাসরোধ (Child choking on food/toy)
- ঘরের ধোঁয়া বা গ্যাসে শ্বাসকষ্ট (Smoke/gas inhalation at home)
প্রাথমিক চিকিৎসার মৌলিক নিয়ম, শান্তভাবে কাজ করা এবং প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া
বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
পরিবেশের সঙ্গে কম অভিযোজিত হওয়া বিদ্যালয়ের বয়সী শিশুরা সাধারণত দুর্ঘটনা ও আঘাতের ঝুঁকিতে বেশি থাকে। যদিও বেশিরভাগ আঘাত ছোটখাটো এবং প্রাথমিক হয় তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা গুরুতর বা জীবন হানিকার আঘাত পেতে পারে।
শিশুদের দৈহিক গঠন ও কর্মকাণ্ড প্রাপ্তবয়স্কদের মতো ততটা পরিপূর্ণ নয়, তাই শিশুদের অসুস্থতা বা স্বাস্থ্যগত সমস্যা অনেক সময় প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় কিছুটা বেশি হতে পারে। সঠিক সময় প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান না করলে পরিস্থিতির তীব্রতা অনেকটা বেশি হয়।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য: প্রতিটি শিশুর অভিভাবক তাদের নিজ নিজ শিশুকে জীবনের তুলনায় বেশি ভালোবাসি। তাই নিজেদের কিছু হোক বা না হোক, শিশুদের প্রতি অনেক সজাগ থাকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, স্নেহ এবং ভালোবাসায় ডুবে থাকা অভিভাবকরা শিশুদের স্কুলে পাঠিয়ে মনের ভিতর অনেক কিছু ভাবনা নিয়ে জীবন কাটান।
অভিভাবকরা চান শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলের ভিতর শিশুদের অভিভাবক হন, ছোটখাটো কোন সমস্যা হলে খুব দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা যেন প্রদান করা হয়। প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকারা দ্রুত সেই শিশুর বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
বিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া অধিকাংশ আঘাত শারীরিক ক্রিয়াকর্ম বা শিশু বয়সে ছোটাছুটি করার প্রবণতা থেকে আসে। তাই শিক্ষক শিক্ষিকা ও বিদ্যালয়ে কর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ থাকা অত্যান্ত জরুরি, যাতে দুর্ঘটনার সময় দ্রুত এবং সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়
নিচে কিছু পরিসংখ্যান দেওয়া হলো যা বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার গুরুত্ব স্পষ্টভাবে তুলে ধরে —
- পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যালয়বয়সী শিশুদের ১৫ থেকে ২৫ পার্সেন্ট শিশু আলাদা আচরণ সম্পন্ন। কেমন কেউ ভীষণ চঞ্চল, কেউ গোয়ার, কেউ ADHD ও কেউ ASD
- বিদ্যালয় সংক্রান্ত দুর্ঘটনার মধ্যে প্রায় সত্য পারছেন ঘটে দৌড়াদৌড়ি করার জন্য।
- প্রতিদিন হাজার হাজার শিশু বিদ্যালয়ে ছোটখাটো কাটা, ছেঁড়া, মচকানো বা পড়ে যাওয়ার আঘাত পায়। অধিকাংশ নিজে থেকে ঠিক হয়ে যায়। কিছু অল্প সংখ্যক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি দেয়া হয়। অপরদিকে কিছু সংখ্যক সমস্যাগুলি ভবিষ্যতে বড় রকমের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
- বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাস্তার পরিকাঠামো এবং যানজটের পরিস্থিতি কী, আমরা তা সবাই কমবেশি জানি। জরুরী চিকিৎসা পেতে গড়ে ১৫ মিনিট থেকে এক ঘন্টা সময় লাগতে পার। এই সময়ের মধ্যে সঠিক প্রাথমিক চিকিৎসা জীবন বাঁচাতে পারে।
- গবেষণায় দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়ের কর্মীদের মধ্যে খাতা কলমে ৩০ থেকে ৪০% প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কিন্তু বাস্তবতা এবং প্রাথমিক চিকিৎসার অবস্থা আমরা কমবেশি জানি।
- পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি করে প্যারা মেডিকেল পড়া Nurse নিয়োগ করা হয়েছে। প্রাথমিক স্কুল অবহেলিত।
- পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ পাবলিক স্কুলে প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতির নাম খারাপ করা হচ্ছে।
- বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সঠিকভাবে থাকলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ৫০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা ৫০% পর্যন্ত হাস পায়।
পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলোতে প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষের মতো ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে। এর মধ্যে, প্রায় ১ কোটি ১৭ লক্ষের মতো ছাত্র-ছাত্রী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে এবং প্রায় ৫৩ লক্ষের মতো উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা করে।
স্কুলে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণে কী কী বিষয় জড়িত?
বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ সাধারণত এমনভাবে গঠিত হয় যাতে শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনা বা জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।
১. মৌলিক প্রাথমিক চিকিৎসার জ্ঞান
- প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য ও নীতিমালা (৩টি P: Preserve life, Prevent worsening, Promote recovery)
- দুর্ঘটনার সময় শান্ত থাকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কৌশল
- জরুরি পরিস্থিতি চিহ্নিত করা ও সাহায্য ডাকার পদ্ধতি
২. সাধারণ আঘাতের চিকিৎসা
- কাটা, ছেঁড়া বা রক্তপাত বন্ধের পদ্ধতি
- পোড়া বা দগ্ধ স্থানে প্রাথমিক সেবা
- মচকানো, স্থানচ্যুতি বা হাড় ভাঙলে করণীয়
- মাথা, চোখ বা নাকের আঘাতের যত্ন
৩. গুরুতর অবস্থায় তাৎক্ষণিক সহায়তা
- অজ্ঞান ব্যক্তিকে কীভাবে সামলাতে হয়
- শ্বাসরোধ (choking) হলে করণীয় (Heimlich maneuver)
- কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (CPR) শেখানো
- হার্ট অ্যাটাক, অ্যাজমা অ্যাটাক বা খিঁচুনির সময় প্রাথমিক সেবা
৪. স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত সচেতনতা
- বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নীতি ও প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সের ব্যবহার
- শিশুদের সাধারণ অসুস্থতা (অ্যালার্জি, জ্বর, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি)
- দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায় ও সতর্কতা অবলম্বন
৫. প্রায়োগিক অনুশীলন (Hands-on Practice)
- ব্যান্ডেজ, ড্রেসিং ও স্লিং ব্যবহার শেখানো
- জরুরি অবস্থায় দলগতভাবে কাজ করার প্রশিক্ষণ
- অভিনয়ভিত্তিক (simulation) বা মক ড্রিল পরিচালনা
আমি আমার প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ কোথায় সম্পন্ন করতে পারি?
প্রাথমিক চিকিৎসা (First Aid) প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার জন্য বর্তমানে অনেক নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা রয়েছে — সরকারি, বেসরকারি এবং স্বেচ্ছাসেবী — যারা এই ধরনের কোর্স পরিচালনা করে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প দেওয়া হলো 👇
১. ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটি (Indian Red Cross Society)
- এটি ভারতের অন্যতম স্বীকৃত সংস্থা, যারা নিয়মিত Basic First Aid এবং CPR Training কোর্স পরিচালনা করে।
- প্রায় সব রাজ্যের জেলায় তাদের শাখা রয়েছে। https://indianredcross.org
২. সেন্ট জন অ্যাম্বুলেন্স ইন্ডিয়া (St. John Ambulance India)
- এটি একটি সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান, যারা স্কুল, শিক্ষক, অফিস কর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন স্তরের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ দেয়।
- অনেক রাজ্যে সার্টিফিকেটসহ কোর্স পাওয়া যায়। https://stjohnambulanceindia.in
৩. ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (NIDM)
- এখানে Disaster & First Aid Preparedness সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্যও উপযুক্ত https://nidm.gov.in
💉 ৪. স্থানীয় হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজ
- অনেক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল (যেমন Apollo, Fortis, AIIMS, ইত্যাদি) ছোট মেয়াদী First Aid & CPR workshops পরিচালনা করে।
- স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজ বা নার্সিং ইনস্টিটিউটেও প্রায়ই এই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
৫. অনলাইন প্রশিক্ষণ (Online Courses)
যদি আপনি ঘরে বসে শিখতে চান, তাহলে নিচের অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতেও সার্টিফিকেটসহ কোর্স করতে পারেন —
- Coursera – First Aid and CPR by American Red Cross
- Udemy – Basic First Aid for Everyone
- Skill India Portal – First Aid Awareness Programmes
Read More:
- Annual Academic Calendar of WBBSE Class 5-10
- Top 50 Teaching Interview Questions and Answers
- WB SLST 9-10 Teacher Interview Process 2025
FAQ on First Aid in School
What is some importance of first aid box in school?
স্কুলে ফার্স্ট এড বক্সের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি দুর্ঘটনা বা হঠাৎ অসুস্থতার ক্ষেত্রে তাত্ক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ দেয়। ছেলেমেয়েদের ছোট ক্ষত, পোড়া, কাটা বা মাথায় আঘাতের মতো পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া নেওয়া সম্ভব। ফার্স্ট এড বক্স থাকলে আহত ছাত্রছাত্রীকে নিরাপদ রাখা যায় এবং বড় সমস্যা এড়ানো যায়।
What are the first aid activities in the school?
স্কুলে সাধারণ ফার্স্ট এড কার্যক্রম বা কার্যকলাপগুলো হলো: ছোট ক্ষত বা কাটা জখমের চিকিৎসা, পোড়া বা গরম জ্বালার চিকিৎসা, মাথায় আঘাত বা ঠান্ডা লাথি, মাথা ঘোরানো বা ব্যথা, নাক থেকে রক্তপাত, বিরতি বা অসুস্থতা, প্রাথমিক চিকিৎসা শিক্ষা।
What to put in a first aid kit for school?
স্কুলের জন্য ফার্স্ট এড কিটে থাকা উচিত এমন জিনিসগুলো হলো: ব্যান্ডেজ (বিভিন্ন আকারের), স্টেরাইল গজ, এন্টিসেপটিক ক্রিম বা লোশন, অ্যালকোহল-সোয়াব বা অ্যান্টিসেপটিক প্যাড, প্লাস্টিক/ফ্যাব্রিক পটল (adhesive tape), থার্মোমিটার কাঁচি ও পিনস টুইজার (pincet), আঙুল বা হাত ঢাকার নকল গ্লাভস, আইওয়াশ বা চোখ ধোয়ার তরল, ব্যথানাশক (paracetamol, ibuprofen – শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক অনুমতিতে), ঠান্ডা বা গরম কম্প্রেস (ice pack, heat pack), নাক রক্তপাতের জন্য টিস্যু বা গজ, মেডিকেল ইমার্জেন্সি নম্বরের তালিকা।
How to teach first aid in school?
স্কুলে ফার্স্ট এড শেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে শিক্ষার্থীদের ফার্স্ট এড কী এবং কেন প্রয়োজন তা বোঝানো উচিত, যাতে তারা জরুরি পরিস্থিতিতে সচেতন হতে পারে। এরপর প্র্যাকটিক্যাল ডেমোর মাধ্যমে ব্যান্ডেজ বাঁধা, নাক থেকে রক্তপাত থামানো, ছোট কাটা বা পোড়া চিকিৎসা করার পদ্ধতি দেখানো যায়। শিক্ষার্থীদের গ্রুপে বিভক্ত করে রোল-প্লে কার্যক্রম করানো উচিত, যাতে তারা বাস্তব পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তা শিখতে পারে। ফার্স্ট এড কিটের প্রতিটি উপকরণের ব্যবহার শেখানো এবং কোন পরিস্থিতিতে অভিভাবক বা চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া জরুরি তা বোঝানো প্রয়োজন। নিয়মিত রিভিশন, কুইজ ও ডিসকাশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান চর্চা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যায়।
Discuss application of first aid principles in the nursery school?
নর্সারি স্কুলে ফার্স্ট এড নীতি প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর আচরণ ও আহত অংশ দ্রুত পর্যবেক্ষণ করা উচিত। নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। ছোট কাটা, চোট বা পোড়া হলে ব্যান্ডেজ, ঠাণ্ডা বা এন্টিসেপটিক ব্যবহার করা উচিত। আহত শিশুকে শান্ত রাখা এবং প্রয়োজনে অভিভাবককে জানানো জরুরি। ক্লাসে ফার্স্ট এড কিট সহজলভ্য রাখার মাধ্যমে দ্রুত প্রতিক্রিয়া সম্ভব হয়।









