প্রশ্নের উদ্দেশ্য:
বোর্ড এই প্রশ্নটি করে আসলে জানতে চান —
- আপনি কি শ্রেণিকক্ষের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারেন?
- আপনি কি ছাত্রদের আচরণগত সমস্যার পেছনের কারণ খুঁজে বের করতে পারেন?
- আপনি কি কঠোর না হয়ে কার্যকরভাবে পরিস্থিতি সামলাতে জানেন?
- আপনার মানসিক স্থিরতা, সহমর্মিতা ও নেতৃত্বগুণ কেমন?
উত্তর দেওয়ার সময় মাথায় রাখবেন:
- “আমি রাগ করি না” বা “কঠোর হই” — এই দুই প্রান্তের কোনো একটি নয়; সমন্বিতভাবে বলুন।
- ছাত্রের আচরণের কারণ বোঝা ও সম্পর্ক তৈরি করার দিক দেখান।
- শিক্ষামূলক শৃঙ্খলা রক্ষা কিভাবে করেন, তা বোঝান।
- বাস্তবধর্মী একটি উদাহরণ দিন।
সম্ভাব্য উত্তর (উদাহরণসহ)
উত্তর ১ (ম্যাচিউরড শিক্ষিকার মতো, ভারসাম্যপূর্ণ ও সংবেদনশীল)
- আমি মনে করি, কঠিন বা বিঘ্ন সৃষ্টিকারী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ধৈর্য ও সহানুভূতি নিয়ে আচরণ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
- প্রথমে আমি চেষ্টা করি, ওরা কেন এমন আচরণ করছে তা বোঝার — হয়তো পড়াশোনায় দুর্বলতা, পারিবারিক সমস্যা, বা আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকতে পারে।
- আমি আলাদা করে তার সঙ্গে কথা বলি, যাতে সে বোঝে আমি তাকে শাস্তি দিতে নয়, সাহায্য করতে চাই।
- শ্রেণিকক্ষে আমি নিয়মিত ইতিবাচক আচরণের প্রশংসা করি, এতে বাকিরাও অনুপ্রাণিত হয়।
- একবার এক ছাত্র প্রায়ই ক্লাসে কথা বলত — আমি তাকে বোর্ডে কিছু ছোট কাজের দায়িত্ব দিলাম, ধীরে ধীরে তার মনোযোগ ও আচরণ অনেক উন্নত হলো।
- আমি বিশ্বাস করি, শাস্তির চেয়ে সহানুভূতিই শিক্ষকের আসল শক্তি।
উত্তর ২ (অভিজ্ঞ ও আত্মবিশ্বাসী শিক্ষিকার মতো)
- বিঘ্ন সৃষ্টিকারী ছাত্রদের ক্ষেত্রে আমি “discipline with care” নীতি অনুসরণ করি।
- আমি প্রথমে শান্তভাবে তার আচরণে মনোযোগ দিই এবং প্রয়োজন হলে শ্রেণির পরে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলি।
- আমি তাকে ক্লাসে সক্রিয় ভূমিকা নিতে উৎসাহ দিই — যেমন, গণিতের প্রশ্ন লিখে দেওয়া বা বোর্ডে কোনো সমস্যা সমাধান করা।
- এইভাবে দায়িত্ব দিলে ওরা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং আচরণে পরিবর্তন আসে।
- পাশাপাশি আমি নিশ্চিত করি, শ্রেণিকক্ষে ন্যায্য নিয়ম সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হয়।
- এতে ছাত্ররা শিক্ষককে ভয় নয়, শ্রদ্ধা করতে শেখে।
উত্তর মনে রাখার সহজ কৌশল:
- চার ধাপের সূত্র মনে রাখুন:
👉 Observe → Understand → Guide → Reinforce
(পর্যবেক্ষণ → কারণ বোঝা → সহায়তা → ভালো আচরণে উৎসাহ) - একটি বাস্তব উদাহরণ মুখস্থ রাখুন
যেমন: “একজন ছাত্র অমনোযোগী ছিল, আমি তাকে বোর্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছিলাম…” - ইন্টারভিউতে বলার সময় শান্ত কণ্ঠে বলুন, যেন বোর্ড আপনার ধৈর্য ও ব্যালান্স অনুভব করতে পারে।








