Unit-IV: Individual Differences explores the unique variations among learners in intelligence, aptitude, personality, learning style, and emotional traits. This topic is crucial for B.Ed., M.Ed., and Teacher Interview preparation, helping educators understand learner diversity and adopt appropriate teaching strategies for inclusive and effective classroom learning.
Unit-IV: Individual differences
- Role of heredity, environment including physical and socio cultural factors,
- Nutrition,
- Child rearing practices and Family.
ব্যক্তিগত পার্থক্য (Individual Differences)
১. অর্থ ও সংজ্ঞা :
ব্যক্তিগত পার্থক্য বলতে বোঝায় — মানুষের মধ্যে শারীরিক, মানসিক, আবেগীয়, সামাজিক ও বুদ্ধিগত বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা। পৃথিবীতে কোনও দুইজন মানুষ সম্পূর্ণ একই রকম নয়। প্রত্যেকের বুদ্ধি, ব্যক্তিত্ব, আগ্রহ, চিন্তাভাবনা ও আচরণে পার্থক্য বিদ্যমান।
সংজ্ঞা:
“Individual Differences হল এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ব্যক্তিদের গুণ, ক্ষমতা, প্রবণতা ও ব্যক্তিত্বে পার্থক্য প্রকাশ পায়।”
শিক্ষাক্ষেত্রে এই পার্থক্যগুলিকে বুঝে শিক্ষক যদি শিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তবে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ বিকাশ সম্ভব।
২. ব্যক্তিগত পার্থক্যের প্রকৃতি (Nature of Individual Differences):
- প্রত্যেক মানুষ স্বতন্ত্র ও অনন্য (Unique Individual)।
- পার্থক্য দেখা যায় বুদ্ধি, প্রতিভা, আগ্রহ, প্রেরণা, ব্যক্তিত্ব, শেখার ক্ষমতা ও আবেগে।
- পার্থক্য হতে পারে পরিমাণগত (quantitative) যেমন — উচ্চতা, ওজন, বুদ্ধির মাত্রা;
আবার গুণগত (qualitative) যেমন — ব্যক্তিত্ব, মনোভাব, মূল্যবোধ। - এই পার্থক্যগুলি বংশগত (heredity) ও পরিবেশগত (environmental) প্রভাবের ফলে ঘটে।
- শিক্ষকের উচিত এই পার্থক্যগুলি বুঝে শিক্ষণ–পদ্ধতি ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা নির্ধারণ করা।
৩. ব্যক্তিগত পার্থক্যে প্রভাব বিস্তারকারী উপাদানসমূহ (Factors Influencing Individual Differences):
ব্যক্তিগত পার্থক্য সাধারণত বংশগতি ও পরিবেশের যৌথ প্রভাবে তৈরি হয়। এর পাশাপাশি পুষ্টি, পরিবার, সামাজিক–সাংস্কৃতিক পরিবেশ ও শিশুপালন পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
(i) বংশগত প্রভাব (Role of Heredity):
- বংশগতি বলতে বোঝায় — পিতা-মাতা থেকে সন্তানদের মধ্যে বৈশিষ্ট্যের উত্তরাধিকার প্রাপ্তি।
- এটি শিশুর শারীরিক গঠন, ত্বক, চোখের রঙ, উচ্চতা, ওজন, এমনকি কিছু মানসিক গুণ ও বুদ্ধির মাত্রা নির্ধারণ করে।
- বুদ্ধি, প্রতিভা, ও শারীরিক সক্ষমতার ভিত্তি অনেকাংশে বংশগত।
- যদিও বংশগতি ভিত্তি দেয়, কিন্তু পরিবেশ সেটির বিকাশ বা দমন করতে পারে।
উদাহরণ:
একজন শিশু যদি সংগীতে বংশগত প্রতিভা পায়, তবে পরিবেশ ও অনুশীলনের মাধ্যমে সেই প্রতিভা বিকশিত হয়।
(ii) পরিবেশের প্রভাব (Role of Environment):
পরিবেশ বলতে বোঝায় — শিশুর চারপাশের সমস্ত শারীরিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান, যা তার বিকাশে প্রভাব ফেলে।
পরিবেশের প্রভাব তিনভাবে পড়ে:
- Physical Environment (শারীরিক পরিবেশ):
- বাসস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু, স্বাস্থ্য, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রভৃতি শিশুর বিকাশে প্রভাব ফেলে।
- দূষিত ও অনিরাপদ পরিবেশে মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়।
- Socio-cultural Environment (সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ):
- সমাজের রীতি-নীতি, সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক সম্পর্ক শিশুদের চিন্তাভাবনা ও আচরণে প্রভাব ফেলে।
- সহানুভূতি, সহযোগিতা, ও সামাজিক দায়িত্ববোধ এই পরিবেশ থেকেই শেখা হয়।
- Educational Environment (শিক্ষাগত পরিবেশ):
- বিদ্যালয়, শিক্ষক ও সহপাঠীরা শিশুর জ্ঞানীয় ও সামাজিক বিকাশে ভূমিকা রাখে।
(iii) পুষ্টি (Nutrition):
- পুষ্টি শিশুর শারীরিক, মানসিক ও আবেগীয় বিকাশের মূলভিত্তি।
- সুষম খাদ্য শিশুর শরীর ও মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে।
- অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা সাধারণত দুর্বল, মনোযোগহীন ও শেখার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে।
- গর্ভকালীন পুষ্টিও শিশুর ভবিষ্যৎ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উপসংহার:
“Sound nutrition leads to sound growth — both physically and mentally.”
(iv) শিশুপালন পদ্ধতি (Child Rearing Practices):
- অভিভাবকরা কীভাবে সন্তানদের বড় করেন, সেটিই শিশুপালন পদ্ধতি।
- এটি শিশুর আবেগীয় নিরাপত্তা, আত্মবিশ্বাস, শৃঙ্খলা, ও সামাজিক আচরণে গভীর প্রভাব ফেলে।
প্রধান শিশুপালন পদ্ধতি তিনটি:
- Authoritative (উদার নিয়ন্ত্রিত): ভালোবাসা ও নিয়মের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে — শিশুর বিকাশের জন্য সর্বোত্তম।
- Authoritarian (কঠোর নিয়ন্ত্রিত): অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ শিশুর আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে।
- Permissive (অতিরিক্ত স্বাধীন): শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ কমে যায়।
সঠিক শিশুপালন পদ্ধতি শিশুর আত্মসম্মান, আচরণ ও মানসিক ভারসাম্য গঠনে সহায়ক।
(v) পরিবার (Family):
- পরিবারই শিশুর প্রথম শিক্ষা কেন্দ্র।
- পারিবারিক পরিবেশে ভালোবাসা, সমঝোতা ও নিরাপত্তা থাকলে শিশু মানসিকভাবে দৃঢ় হয়।
- অসহযোগী বা ভাঙা পরিবারে (broken family) শিশু প্রায়ই উদ্বিগ্ন, আত্মবিশ্বাসহীন ও আবেগীয়ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।
- পিতামাতার শিক্ষাগত মান, অর্থনৈতিক অবস্থা ও সামাজিক অবস্থানও শিশুর বিকাশে প্রভাব ফেলে।
৪. উপসংহার :
ব্যক্তিগত পার্থক্য একটি স্বাভাবিক ও অনিবার্য প্রক্রিয়া। এটি বংশগতি ও পরিবেশের যৌথ প্রভাবে গঠিত হয়। শিক্ষক, অভিভাবক ও সমাজের উচিত এই পার্থক্যকে সম্মান জানানো এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার নিজস্ব ক্ষমতা ও আগ্রহ অনুযায়ী বিকাশের সুযোগ প্রদান করা।
সারাংশ:
“Every child is unique. Understanding individual differences is the key to effective teaching and holistic development.”








