Maharaja Manindra Chandra Nandy (Cossimbazar)

Rate this post

কাশিমবাজারের রাজা মহারাজা মনীন্দ্রচন্দ্র নন্দী (১৮৬০ – ১৯২৯) ছিলেন একাধারে জমিদার, সমাজসংস্কারক, শিক্ষাপ্রেমী ও দাতা। তিনি কাশিমবাজার নন্দী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর সময়ে সমাজে এক বিশিষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। নিচে তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো:

জীবন ও শিক্ষা
জন্ম:
১৮৬০ সালে, কাশিমবাজার রাজপরিবারে। তিনি অল্প বয়স থেকেই শিক্ষা ও সমাজসেবার প্রতি অনুরাগী ছিলেন। ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষাতেই শিক্ষিত ছিলে

জমিদারি ও উপাধি
কাশিমবাজার নন্দী পরিবারের জমিদারি তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পান। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে “মহারাজা” উপাধিতে ভূষিত করে। রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত না হলেও সমাজ সংস্কার, শিক্ষা বিস্তার এবং দান-ধ্যান কর্মে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।

দানশীলতা ও সমাজসেবা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিপুল অর্থদান করেছিলেন। Maharaja Manindra Chandra College (MMCC), is one of the Top colleges in Kolkata. It’s Affiliated with the University of Kolkata. নারীশিক্ষা প্রসার: বাঙালি নারীদের শিক্ষায় তিনি বিশেষ উদ্যোগ নেন।
স্বাস্থ্যসেবা: বিভিন্ন হাসপাতাল ও দাতব্য চিকিৎসালয়ে অর্থদান করেন। বহু দাতব্য প্রতিষ্ঠান তাঁর দানের দ্বারা টিকে ছিল।

১) R. G. Kar Medical College & Hospital — ভবনের বিল্ডিং ফান্ডে অনুদান
কি দেওয়া:
Rs. 15,000 (বিল্ডিং ফান্ডে অনুদান হিসেবে উল্লেখ আছে)।
তারিখ: উৎসগুলো সরাসরি বছর উল্লেখ না করলেও কলেজ-হিস্টরিতে এই অনুদানের কথা রেকর্ড আছে।
সূত্র: ইতিহাস/সংক্ষিপ্ত বিবরণ র.জি.কার মেডিক্যাল কলেজ।

২) (Calcutta) National Medical / Calcutta Free Hospital / “National Infirmary” — জমি দান
কি দেওয়া:
301/3 Upper Circular Road-এ হাসপাতাল/প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরের জন্য জমি দান।
তারিখ: 1914 (হাসপাতাল ওই বছরে Upper Circular Road-এ স্থানান্তরিত হয় এবং সেখানে জমি দানের কথা বলা আছে)।
সূত্র: ঐ প্রতিষ্ঠান/আলুমনাই ইতিহাস পেজ।

৩) Maharaja Manindra Chandra College, কলকাতা — (স্মরণে প্রতিষ্ঠিত/পরিচিত)
কি দেওয়া:
কলেজটি মহারাজার স্মরণে প্রতিষ্ঠিত; তাঁর পরিবার/পুত্র প্রতিষ্ঠানের জন্য জায়গা/প্রাসঙ্গিক সহযোগিতা দিয়েছে (প্রতিষ্ঠানটির নাম তাঁর নামে)।
তারিখ: কলেজ প্রতিষ্ঠা 1941 (কলেজ ইতিহাসে প্রতিষ্ঠা-বিবরণ)।
টীকা: কলেজটি সরাসরি তাঁর জীবদ্দশায় প্রতিষ্ঠিত নয় — এটি তাঁর স্মৃতিতে তাঁর পুত্র ও অন্যান্য সমর্থকদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হলেও কলেজ নামের কারণে তিনি এই তালিকার অংশ হিসেবে প্রাসঙ্গিক।
সূত্র: MM College অফিসিয়াল ইতিহাস পেইজ।

৪) Krishnath College (Berhampore / Krishnath College school প্রসঙ্গ) — বড় অনুদান/সহযোগিতা
কি দেওয়া:
মহারাজা পরিবারের অনুদান/সহযোগিতার উল্লেখ — বড় অর্থ ও ভূমি-সংক্রান্ত সহায়তার রেকর্ড আছে (বিভিন্ন ঐতিহাসিক নথিতে)।
তারিখ/টাকা: উৎসগুলোতে বিস্তারিত আকারে ভিন্ন রেকর্ড আছে; (উদাহরণস্বরূপ ঐতিহাসিক বিবরণে পরিবারের অনুদানের উল্লেখ পাওয়া যায়)।
সূত্র: কলেজ নথি (NBU IR) এবং ঐতিহাসিক রেফারেন্স।

৫) Daulatpur College ও Rangpur College-এ অনুদান (বিভিন্ন স্থান)
কি দেওয়া:
বিভিন্ন উৎসে উল্লেখ আছে যে তিনি Daulatpur College-এ Rs.5,000 এবং Rangpur College-এ Rs.50,000 অনুদান করেছেন।
তারিখ: নির্দিষ্ট তারিখ উৎসে স্পষ্ট না (উৎস: উইকিপিডিয়া সংকলন ও পুরনো রেফারেন্স)।
সতর্কতা: এই তথ্যটি উইকিপিডিয়া ও পুরনো রেফারেন্সে আছে — প্রাথমিক উৎস (প্রাথমিক রিপোর্ট/নথি) না দেখলে নিশ্চিতভাবে বছর দেয়া মুশকিল।

৬) অন্যান্য প্যাট্রনেজ / চেয়ারের স্থাপন ও শিক্ষাগত সংস্থাগুলোকে প্যাটরনাইজেশন
কি করা:
Banaras Hindu University-তে একটি চেয়ার (chair) প্রতিষ্ঠা, Sir Jagadish Chandra Bose-এর ল্যাব/সায়েন্স চেয়ার-এ অনুদান, Bengal Technical Institute, National College, The Association for the Scientific and Industrial Education of Indians-কে প্যাট্রনাইজ ও অনুদান—এসবের উল্লেখ বিভিন্ন জীবনী/সংকলনে আছে।
তারিখ/টাকা: সূত্রগুলোতে নির্দিষ্ট বছর/টাকার বিস্তারিত সবখানে নেই।
সূত্র: উইকিপিডিয়া ও সংকলিত জীবনী/বায়োগ্রাফিক

খ্যাতি
তাঁকে “দানবীর মহারাজা” বলা হতো, কারণ সমাজকল্যাণমূলক কাজে তিনি বিপুল অর্থ দান করতেন। ১৯২৯ সালে তাঁর মৃত্যু হলে সারা বাংলায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

উত্তরাধিকার
মনীন্দ্রচন্দ্র নন্দী শুধু কাশিমবাজারের রাজা নন, তিনি বাঙালি সমাজে দানশীলতা, শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল প্রতীক হয়ে আছেন। আজও অনেক প্রতিষ্ঠান তাঁর দানের সাক্ষ্য বহন করছে।

"My true belief is that potential alone does not define a person; it is the relentless pursuit of one’s aspirations that truly matters. I hold that every goal worth achieving demands unwavering dedication and sacrifice. One must also recognize that work and study cannot be pursued with equal intensity at the same moment—each requires its own commitment. Hence, clarity of purpose is essential: to decide consciously what path you wish to follow in life, and then to pursue it wholeheartedly with discipline and perseverance."

Leave a Comment