Enhance learning with storytelling in the classroom! Discover how this teaching strategy boosts student engagement, improves comprehension, and creativity.
Learn practical tips to make lessons memorable and interactive. Perfect for educators aiming to create an inspiring and effective learning environment through the power of stories.
Storytelling in the Classroom as a Teaching Strategy
শিক্ষা শুধুমাত্র বইয়ের জ্ঞান অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনা। বিদ্যালয় আসলাম কিছু পড়লাম এবং বাড়ি চলে গেলাম, এত সংকীর্ণ চিন্তাভাবনার মধ্যেও বিদ্যা পরিপূর্ণতা লাভ করে না। প্রকৃত শিক্ষা হল এমন একটি প্রক্রিয়া, যা শিক্ষার্থীর বৌদ্ধিক, নৈতিক মূল্যবোধ, চিন্তাশক্তি, কল্পনার শক্তি ও যোগাযোগের দক্ষতা গঠনে সাহায্য করে। সেই জায়গায় শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক ও শিক্ষিকা মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ দরকার।
গল্প বলা বা স্টোরি টেলিং একটি অনন্য শিখন কৌশল হিসাবে কাজ করে। গল্প মানুষের মনের ভিতরে দোলা দেয়, মনকে স্পর্শ করে, কারণ গল্পে অনুভূতি অভিজ্ঞতা ও বাস্তব জীবনের প্রতিফলন থাকে। শ্রেণিকক্ষের ভিতর গল্প বলার(Storytelling in the Classroom) মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকা পাঠ্য বিষয়কে জীবন্ত আকর্ষণীয় এবং স্মরণীয় করে তুলতে পারি। পাঠ্য বিষয়ের বিষয়বস্তু গভীরভাবে বোধগম্য হয়। এবং তার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র এবং শিক্ষকের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
“Stories are a great way to connect with people. They can be a source of inspiration and learning.” — Sudha Murty

What Types of Storytelling are There?
গল্প বলা মানে কেবল বিনোদনের উদ্দেশ্যে কাহিনী বলা নয়: এটি শিখন প্রক্রিয়ায় একটি সচেতন কৌশল যেখানে শিক্ষক শিক্ষিকা পাঠ্য বিষয়কে গভীরভাবে বোধগম্য গড়ে তোলার জন্য সুন্দরভাবে গল্পেরা করে পাঠ্য বিষয়টিকে উপস্থাপন করেন। গল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তথ্য, ধারণা এবং মূল্যবোধ গুলি সহজভাবে বুঝতে পারে পরবর্তীকালে এগুলোকে শিক্ষার্থীরা প্রয়োগ এবং দক্ষতা মূলক কাজে লাগাই। যেখানে, ভারতবর্ষের ইতিহাসের পাঠে স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘটনাগুলি গল্প আকারে বললে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম জেগে ওঠে এবং ঐতিহাসিক বিষয়গুলি বোধগম্য হয়।
গল্প বলার(Storytelling in the Classroom) বিভিন্ন পদ্ধতি
শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন উপায়ে গল্প বলতে পারেন:
- মৌখিক গল্প বলা: শিক্ষক নিজে মুখে গল্প বলেন, অভিব্যক্তি ও অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে গল্পকে জীবন্ত করে তোলেন।
- চিত্র বা ফ্ল্যাশকার্ড ব্যবহার: গল্পের সাথে ছবি বা কার্ড দেখালে শিক্ষার্থীরা দৃশ্যত বোঝে ও আগ্রহী হয়।
- পাপেট বা পুতুল নাটক: ছোট শিক্ষার্থীদের জন্য পাপেট থিয়েটারের মাধ্যমে গল্প বললে তা অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়।
- রোল প্লে বা নাট্যরূপ: শিক্ষার্থীরা নিজেরা গল্পের চরিত্রে অভিনয় করে শিখতে পারে। এটি আত্মবিশ্বাস ও দলগত কাজের মানসিকতা গড়ে তোলে।
- ডিজিটাল স্টোরিটেলিং: আজকের যুগে ভিডিও, অ্যানিমেশন, পাওয়ারপয়েন্ট বা অডিও গল্পের মাধ্যমে শেখানো আধুনিক ও কার্যকর পদ্ধতি।
The importance of Storytelling in the Classroom
শ্রেণিকক্ষে গল্প বলার(Storytelling in the Classroom) গুরুত্ব
১. শিক্ষার্থীর মনোযোগ বৃদ্ধি: গল্প স্বাভাবিকভাবে আকর্ষণীয়। শিক্ষক যখন পাঠ্যবিষয়কে গল্পের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন, তখন শিক্ষার্থীরা আগ্রহ নিয়ে শোনে এবং শেখার প্রতি মনোযোগ ধরে রাখে।
২. শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করা: শুধু মুখস্থভিত্তিক পাঠের পরিবর্তে গল্পের মাধ্যমে শেখা শিক্ষার্থীদের কাছে মজাদার হয়। এতে শেখার প্রক্রিয়া চাপমুক্ত ও স্বতঃস্ফূর্ত হয়।
৩. স্মৃতিশক্তি ও বোঝার ক্ষমতা বৃদ্ধি: গল্পে চরিত্র, ঘটনা ও সংলাপ থাকে, যা শিক্ষার্থীরা সহজে মনে রাখতে পারে। ফলে শেখা বিষয় দীর্ঘস্থায়ী হয়।
৪. নৈতিক শিক্ষা প্রদান: গল্পের মাধ্যমে শিক্ষকরা নৈতিকতা, সহানুভূতি, সততা, সাহস ইত্যাদি মানবিক মূল্যবোধ শেখাতে পারেন।
৫. ভাষা ও যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন: গল্প শোনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শব্দভাণ্ডার বাড়ে, উচ্চারণ ও বাক্যগঠন উন্নত হয়। একইসাথে তারা নিজেদের ভাব স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে শেখে।
৬. কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি: গল্প শিশুর কল্পনাশক্তিকে উস্কে দেয়। তারা কাহিনির চরিত্র, পরিবেশ ও ঘটনার সঙ্গে নিজের চিন্তা মেলাতে পারে এবং নতুন ধারণা তৈরি করতে শেখে।
How to Use Storytelling in Your Classroom
গল্প বলার মাধ্যমে শিক্ষকের ভূমিকা
গল্প বলার ক্ষেত্রে শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি শুধুমাত্র গল্প বলনকারী নন, বরং একজন প্রেরণাদায়ক পথপ্রদর্শক। শিক্ষককে গল্পের সঠিক শব্দচয়ন, ভঙ্গি, মুখের অভিব্যক্তি ও কণ্ঠস্বরের ওঠানামা ব্যবহার করে গল্পকে প্রাণবন্ত করতে হয়।
তাছাড়া, গল্পের শেষে শিক্ষককে আলোচনা করতে হবে—
- গল্পের মূল শিক্ষা কী?
- কোন মূল্যবোধ গল্পটি শেখাচ্ছে?
- বাস্তব জীবনে কীভাবে প্রয়োগ করা যায়?

শিক্ষার্থীর ভূমিকা
গল্প বলার ক্লাসে শিক্ষার্থীরাও সক্রিয় অংশগ্রহণকারী। তারা গল্প শোনে, প্রশ্ন করে, মতামত দেয়, এমনকি নিজেরাও গল্প তৈরি করতে শেখে। এতে তাদের আত্মবিশ্বাস, চিন্তাশক্তি ও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
গল্প নির্বাচন করার নিয়ম
- গল্প শিক্ষার্থীর বয়স ও বোঝার ক্ষমতার উপযোগী হতে হবে।
- গল্পে শিক্ষামূলক বার্তা থাকা উচিত।
- ভাষা হতে হবে সহজ ও স্পষ্ট।
- গল্প যেন শিক্ষার্থীর সংস্কৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
- গল্পের দৈর্ঘ্য খুব বড় না হওয়া ভালো, যাতে মনোযোগ ধরে রাখা যায়।
- পাঠ্য বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গল্প বলা হবে: কাহিনি(Plot), চরিত্র(Characters), পরিবেশ(Setting) , সংঘাত(Conflict) ও সমাধান (Regulation) পাঠ্য বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গল্প বলা।
গল্প বলার সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ
সুবিধা:
- শেখা সহজ ও আনন্দদায়ক হয়
- বিষয়বস্তুর প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়
- স্মৃতি শক্তি ও সৃজনশীলতা উন্নত হয়
- দলগত কাজ ও যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ে
চ্যালেঞ্জ:
- সময়ের সীমাবদ্ধতা
- বড় ক্লাসে সকল শিক্ষার্থীকে যুক্ত করা কঠিন
- প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকলে গল্প বলার মান কমে যেতে পারে
Storytelling as a Teaching Method
Storytelling is a classroom game-changer, far beyond bedtime tales:
- Engagement: A captivating story draws in students, making lessons memorable by stimulating multiple areas of the brain.
- Cognitive Boost: Stories fuel imagination, helping students grasp complex ideas and link concepts.
- Cultural Insight: Through stories, students explore diverse cultures and perspectives, broadening their worldview.
- Soft Skills: Storytelling enhances communication and presentation skills, boosting confidence and self-expression.
Storytelling is an effective teaching method that helps students learn and understand information and lessons through stories.
তবে নিয়মিত অনুশীলন, প্রস্তুতি ও উপযুক্ত গল্প নির্বাচন করলে এই চ্যালেঞ্জগুলো সহজেই মোকাবিলা করা যায়। গল্প বলা শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি একটি শক্তিশালী শিক্ষণ কৌশল যা শিক্ষাকে প্রাণবন্ত করে তোলে। শ্রেণিকক্ষে গল্প বলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু পাঠ্যবিষয় শেখে না, বরং জীবনের বাস্তব মূল্যবোধ, সহানুভূতি ও চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায়। গল্প তাদের কল্পনাকে প্রসারিত করে এবং শেখাকে আনন্দময় অভিজ্ঞতায় পরিণত করে।
সুতরাং, প্রতিটি শিক্ষক যদি গল্প বলার কৌশলকে তাদের দৈনন্দিন পাঠ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করেন, তবে শিক্ষা হবে আরও অর্থবহ, মানবিক এবং সৃজনশীল।
Read More:
- Knowledge on First Aid in School and Common Health Problems
- Children With Special Educational Needs
- Annual Academic Calendar of WBBSE Class 5-10: Working Plan
Download Some: Story For Your Student
FAQ on Storytelling in the Classroom
What are the objectives of storytelling in the classroom?
শ্রেণিকক্ষে গল্প বলার উদ্দেশ্যগুলি নিচে দেওয়া হলো – শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধি করা, শ্রবণ ও বোধগম্যতা উন্নয়ন, ভাষা দক্ষতা বৃদ্ধি, নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ গঠন, সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, শিক্ষণকে আনন্দদায়ক করা
How to use storytelling in the classroom?
শ্রেণিকক্ষে গল্প বলার জন্য শিক্ষককে পাঠ্যবিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত গল্প নির্বাচন করতে হবে। গল্প বলার সময় মুখের অভিব্যক্তি ও অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উৎসাহ দিতে হবে, প্রশ্ন করতে হবে এবং গল্পের মাধ্যমে পাঠকে আনন্দদায়ক ও অর্থবহ করে তুলতে হবে।
How to teach storytelling in the classroom?
শ্রেণিকক্ষে গল্প বলানো শেখাতে শিক্ষককে গল্পের উপাদান যেমন চরিত্র, স্থান, কাহিনি ইত্যাদি বোঝাতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিজে গল্প তৈরি ও বলার সুযোগ দিতে হবে। ছবি, অঙ্গভঙ্গি ও অভিনয়ের মাধ্যমে গল্পকে প্রাণবন্ত করে তুললে তারা আনন্দের সঙ্গে শিখতে পারে।
How to use digital storytelling in the classroom?
ডিজিটাল গল্প বলার জন্য শিক্ষক ভিডিও, ছবি, অডিও ও প্রেজেন্টেশন ব্যবহার করতে পারেন। শিক্ষার্থীরা নিজস্ব গল্প তৈরি করে প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারে। এতে তাদের সৃজনশীলতা, প্রযুক্তি জ্ঞান ও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং পাঠ আরও আকর্ষণীয় ও কার্যকর হয়।









