West Bengal Government Important Schemes

Rate this post

আকাঙ্কষা (Akanksha) স্কিম

প্রচলন: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের আবাসন বিভাগ
লক্ষ্য গোষ্ঠী: রাজ্য সরকারের সে সমস্ত কর্মচারী যারা ইতিমধ্যে কোনও অন্য আবাসন স্কিমের সুবিধা পাননি
উদ্দেশ্য: সরকারি কর্মচারীদের জন্য “নিজের বাসা (ফ্ল্যাট)” সাশ্রয়ী মূল্যে ও সুবিধাজনক শর্তে প্রদান করা

নিউটাউন, রাজরহাট, কলকাতা অঞ্চলে প্রকল্প piloto (প্রারম্ভিক) ভাবে শুরু করা হয়েছে

আনন্দধারা স্কিম

“আনন্দধারা” পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি কেন্দ্র-সরকার এবং রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে গ্রামীণ দারিদ্র্য দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির একটি প্রোগ্রাম। এটি মূলত ন্যাশনাল রুরাল লাইভলাইনহুডস মিশন (NRLM) / DAY-NRLM-এর রাজ্য ভার্সন।

উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রা

  • গ্রামীণ গরিব পরিবারগুলোর মধ্যে সামাজিক সংগঠন গঠন (Self Help Groups / SHGs) তৈরি করা, তাঁদের শক্তিশালী করা।
  • মহিলাদের ক্ষমতায়ন (women’s empowerment) ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বাড়ানো।
  • ঋণ সুবিধা, আয়-উৎপাদনমূলক কার্যক্রম, দক্ষতা প্রশিক্ষণ, বাজার সংযোগ তৈরি করা।
  • আর্থিক অন্তর্ভুক্তি (financial inclusion) বাড়ানো — SHG-গুলিকে ব্যাংক এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক সুযোগের সাথে যুক্ত করা।

জল ধরো জল ভরো (Jal Dharo Jal Bharo)

“জল ধরো জল ভরো” পশ্চিমবঙ্গে সরকার কর্তৃক ২০১১-১২ অর্থবছরে শুরু করা একটি প্রকল্প, যা জলের সংরক্ষণ, বৃষ্টির জল সঞ্চয় এবং ভূগর্ভস্থ ও পৃষ্ঠের জলপথের রক্ষণাবেক্ষণ তুলে ধরে। এই প্রকল্পটি রাজ্যের “Water Resources Investigation & Development Department (WRI&DD)” দ্বারা পরিচালিত হয়, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর (P&RD) এবং MGNREGA-এর সঙ্গে মিলিয়ে কাজ করা হয়।

উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য

  • বৃষ্টির জল সঞ্চয় (Rainwater harvesting) এবং ছাদ থেকে বৃষ্টির জল সংগ্রহের ব্যবস্থা করা।
  • ট্যাংক, পুকুর, জলাধার, খাল, চ্যানেল ইত্যাদি জলাধারগুলোর পুনঃখনন ও সংস্কার করা, যা পানির ধারণক্ষমতা কমে গেছে।
  • ভূমির উপরের জলপ্রবাহ (surface runoff) আটকিয়ে রাখা, চেক-ড্যাম ইত্যাদি গঠন করে জলকে সংরক্ষণযোগ্য করা।
  • খরা-মৌসুমে অতিরিক্ত সেচের জন্য এবং গবাদি পশু ও গৃহস্থালির কাজের জন্য সবসময় জল পাওয়া যায় এমন ব্যবস্থা করা।
  • মাছ চাষ (Pisciculture), পশুপালন ও অন্যান্য উপার্জন-মূলক কার্যক্রমের জন্য জলাশয়গুলোর ব্যবহার বৃদ্ধি করা।
  • জনসচেতনতা সৃষ্টি করা — সাধারণ মানুষকে, especially গ্রামাঞ্চলে, জল সংরক্ষণ ও কার্যকর ব্যবহার সম্পর্কে जागরুক করা।

কন্যাশ্রী প্রকাল্প (Kanyashree Prakalpa)

“কন্যাশ্রী প্রকাল্প” পশ্চিমবঙ্গ সরকারের Women Development & Social Welfare Department দ্বারা পরিচালিত একটি Conditional Cash Transfer স্কিম।

লঞ্চ করা হয়েছিল ২০১৩ সালের ৮ই মার্চ, মেয়েদের শিক্ষার উন্নয়ন, সময়মতো বিয়ে বন্ধ করা ও সামাজিকভাবে মেয়েদের অধিক সুরক্ষা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে।

কন্যাশ্রী প্রকল্পের অফিসিয়াল ট্যাগলাইন হলো:

(a) “Say No to Child Marriage, Yes to Education” বাংলায় অর্থ: “শিশুবিবাহকে না বলুন, শিক্ষাকে হ্যাঁ বলুন”

(b) মেয়েরা আমাদের ঘরের ‘সম্পদ’

ভবিষ্যতের – অনন্যা

ওদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে দিন

“কন্যাশ্রী” ওদের প্রেরণা। ———মমতা ব্যানার্জি

(c) কন্যাশ্রী তে যোগ দেবো, পড়বো, লিখবো, আগাবো।
——শিশু বিকাশ দপ্তর এবং নারী উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ দপ্তর।

(d) আমি প্রগতি আমি কন্যাশ্রী।

    উদ্দেশ্য

    • ১৩-১৮ বছরের মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে উৎসাহ দেওয়া।
    • মেয়েদের ত্বরিত বা অল্প বয়সে বিয়ে বন্ধ করা, যেহেতু আইনি বিবাহের ন্যূনতম বয়স হল ১৮ বছর।
    • শিক্ষাজীবন দীর্ঘ করা, হারেরি ও মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার কমানো।
    • সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে মেয়েদের আত্মনির্ভরশীল হওয়া এবং পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে শিক্ষার সুযোগ থেকে বিহীন হওয়া অবস্থা কমিয়ে আনা।
    কন্যাশ্রী প্রকাল্প Kanyashree Prakalpa tag line

    সুবিধাসমূহ (Benefits)

    স্কিমের দুটি প্রধান উপাদান রয়েছে:

    উপাদানবয়স ও শর্তসুবিধা / অর্থ সাহায্য
    বার্ষিক বৃত্তি (K1)১৩-১৮ বছর বয়সের মেয়েরা, যদি তারা ক্লাস VIII-XII-র পড়াশোনা করে থাকেন (ভোকেশনাল/টেকনিক্যাল/স্পোর্টস ট্রেনিংকেও অন্তর্ভুক্ত) এবং বিয়ে না করা থাকে। Also পরিবারের আয় প্রতি বছর ₹ ১,২০,000 (এক লাখ বিশ হাজার টাকা) বা তার কম হতে হবে।প্রতি বছর নির্ধারিত বৃত্তি দেওয়া হয়, যা আগে ছিল ₹ ৫০০ এবং ₹ ১000 পরে করা হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে।
    এককালীন অনুদান (One-Time Grant, K2)মেয়েটি যখন ১৮ বছর হবে (১৮-১৯ বছরের মধ্যে), এবং এখনও বিয়ে না করেছে, তবে সে যদি পড়াশোনা/ভোকেশনাল – ট্রেনিং / স্পোর্টস ট্রেনিং / কলেজে থাকে বা J.J. হোমের (Home under Juvenile Justice Act) অধীনে থাকে, এবং পরিবারের আয় শর্ত পুরণ করে।এককালীন অর্থ সাহায্য – ₹ ২৫,০০০ পাওয়া যাবে।

    নির্মল বাংলা প্রকল্প (Nirmal Bangla Mission / Scheme

    নির্মল বাংলা প্রকল্প (Nirmal Bangla Mission) কী?

    এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গ্রামীণ শৌচাগার ও স্যানিটেশন প্রকল্প, যা মূলত Swachh Bharat Mission (Gramin)-এর রাজ্যভিত্তিক রূপ।

    এর মূল লক্ষ্য হলো ওপেন ডেফিকেশন ফ্রি (ODF) রাজ্য গঠন করা এবং বিদ্যালয়, আঙ্গনওয়াড়ি, পঞ্চায়েত, গ্রামাঞ্চলে স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নত করা।

    ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে পশ্চিমবঙ্গকে প্রথম ODF ব্লক ঘোষণা করা হয়েছিল Nadia জেলা দিয়ে।

    বিদ্যালয়ে অর্থ বরাদ্দ (Amount Allotment in Schools)

    নির্মল বাংলা প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ের স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আলাদা ফান্ড বরাদ্দ করা হয়। সাধারণত এই বরাদ্দ কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ অংশীদারিত্বে আসে।

    বরাদ্দের ধরন (As per SBM-G / Nirmal Bangla Guidelines):

    1. স্কুল টয়লেট নির্মাণ / সংস্কার
      • প্রতি বিদ্যালয়ে ছেলেদের জন্য এবং মেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেট কমপ্লেক্স নির্মাণ।
      • প্রতিটি টয়লেট ব্লকের জন্য গড়ে ₹ 30,000 – ₹ 50,000 (সাধারণ সংস্কার) থেকে শুরু করে নতুন কমপ্লেক্সের জন্য ₹ 1,50,000 বা তারও বেশি বরাদ্দ হতে পারে।
    2. গার্লস টয়লেট (Special focus)
      • মেয়েদের জন্য টয়লেটে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন এবং ডিসপোজাল ইউনিট লাগানোর জন্য আলাদা ফান্ড বরাদ্দ থাকে।
    3. ড্রিঙ্কিং ওয়াটার এবং হ্যান্ডওয়াশ স্টেশন
      • হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, জল সংরক্ষণ ট্যাঙ্ক ও পাইপলাইন বসানোর জন্য অতিরিক্ত ফান্ড দেওয়া হয় (₹ 20,000 – ₹ 40,000 পর্যন্ত স্কুলের সাইজ অনুযায়ী)।
    4. Awareness & IEC (Information, Education, Communication) খাতে ব্যয়
      • বিদ্যালয়ে শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি শিক্ষা, পোস্টার, ক্যাম্পেইন ইত্যাদির জন্যও বরাদ্দ থাকে (সাধারণত মোট প্রকল্প খরচের 5%–8% পর্যন্ত)।

    অর্থের উৎস

    • কেন্দ্র সরকার (SBM-G) : মোট খরচের 60% বহন করে।
    • রাজ্য সরকার (Nirmal Bangla) : বাকি 40% বহন করে।
    • কিছু ক্ষেত্রে CSR ফান্ড / DMF (District Mineral Fund) থেকেও বরাদ্দ দেওয়া হয়।

    বিদ্যালয়ের জন্য বাস্তব প্রভাব

    • প্রায় প্রতিটি সরকারি স্কুলে পৃথক শৌচাগার নির্মিত হয়েছে (ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা)।
    • শিক্ষার্থীদের Attendance (হাজিরা) বিশেষ করে মেয়েদের উপস্থিতি বেড়েছে, কারণ টয়লেট সুবিধা উন্নত হয়েছে।
    • শিশুদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস গড়ে উঠছে।

    সবুজ সাথী প্রকল্প (Sabooj Sathi Scheme)

    Schemes - Sabooj Sathi

    সবুজ সাথী প্রকল্প হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি ফ্ল্যাগশিপ স্কিম, যা ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেন।

    মূল উদ্দেশ্য:

    • সরকারি ও সরকার-সহায়তাপ্রাপ্ত স্কুলে পড়ুয়া Class IX থেকে Class XII পর্যন্ত প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে একটি সাইকেল প্রদান করা।
    • স্কুলে পৌঁছানো সহজ করা, বিশেষ করে গ্রামীণ ও দূরবর্তী এলাকার ছাত্রছাত্রীদের জন্য।
    • মেয়েদের স্কুলে উপস্থিতি (attendance) ও পড়াশোনার ধারাবাহিকতা বাড়ানো।
    • পরিবেশবান্ধব পরিবহণ (green mobility) প্রচার করা।

    লক্ষ্য ও সুবিধা:

    1. শিক্ষায় সমান সুযোগ – ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সাইকেল প্রদান।
    2. স্কুল ড্রপআউট কমানো – দীর্ঘ পথ হেঁটে আসতে অসুবিধার কারণে স্কুল ছাড়ার প্রবণতা হ্রাস।
    3. মেয়েদের ক্ষমতায়ন – মেয়েদের স্কুলে নিয়মিত উপস্থিতি বৃদ্ধি।
    4. পরিবেশবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি – সাইকেল ব্যবহারের মাধ্যমে দূষণ কমানো।
    5. গ্রামীণ উন্নয়ন – গ্রামীণ কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন।

    প্রকল্প বাস্তবায়ন:

    • পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পশ্চিমবঙ্গ ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট (Transport Department of WB) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
    • ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত (২০২3 সাল পর্যন্ত) এক কোটিরও বেশি সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।
    • এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাইকেল বিতরণ প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি।

    যোগ্যতা (Eligibility):

    • পশ্চিমবঙ্গের সরকারি, সরকার-সহায়তাপ্রাপ্ত, এবং মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা।
    • Class IX, X, XI, XII-এর সকল ছাত্রছাত্রী।

    সাইকেলের বৈশিষ্ট্য:

    • শক্তপোক্ত ফ্রেম।
    • চেইন কাভার ও ক্যারিয়ার।
    • স্কুলের নাম এবং “সবুজ সাথী” লোগো প্রিন্টেড থাকে।
    • ছাত্রছাত্রীর জন্য ইউনিক ID-based distribution

    জনপ্রিয় স্লোগান:

    “চলবে পড়াশোনা, সাইকেলে ভরসা – সবুজ সাথী আমাদের আশা”

    শিক্ষাশ্রী প্রকল্প (Shikshashree Scheme)

    Schemes - Shikshashree

    শিক্ষাশ্রী প্রকল্প মূলত তামিলনাড়ু সরকার চালু করেছে, তবে পশ্চিমবঙ্গেও এ জাতীয় স্কিমের ধারণা শিক্ষা সহায়তা প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হলো মূলত SC (Scheduled Caste) and ST (Scheduled Tripe) ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষায় সহায়তা করা। ফ্যামিলি ইনকাম হতে হবে বাৎসরিক ২.৫ লাখ টাকার মধ্যে।

    উদ্দেশ্য

    • দরিদ্র পরিবার থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে আর্থিক সহায়তা প্রদান।
    • স্কুল ড্রপআউট রোধ করা।
    • শিক্ষা গ্রহণের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।

    লক্ষ্যভিত্তিক সুবিধাভোগী

    • মূলত SC (Scheduled Caste)বঞ্চিত শ্রেণির ছাত্রছাত্রী
    • সরকারি ও সরকার-সহায়তাপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা।
    • Class V থেকে Class VIII পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষভাবে চালু।

    প্রধান সুবিধা

    1. স্কলারশিপ সুবিধা – নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে সরাসরি স্থানান্তর (Direct Benefit Transfer – DBT)।
    2. বই, খাতা, ইউনিফর্ম ও স্টাডি ম্যাটেরিয়াল বিনামূল্যে প্রদান।
    3. শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার মাধ্যমে পড়াশোনার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা।
    4. পরিবারের আর্থিক চাপ কমানো।
    5. Class 7- 750/year , Class 8- 800/year

    বাস্তবায়ন

    • স্কিমটি e-Scholarship Portal এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
    • ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারে এবং টাকা সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

    প্রভাব

    • আর্থিক সমস্যার কারণে স্কুল ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।
    • পিছিয়ে পড়া ও বঞ্চিত শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সমান সুযোগ পাচ্ছে।
    • শিক্ষার হার (literacy rate) বাড়াতে সহায়ক হয়েছে।

    যুবশ্রী প্রকল্প (Yuvasree Scheme)

    Schemes Yuvasree

    যুবশ্রী (Yuvasree) প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি অর্থনৈতিক সহায়তা ও কর্মসংস্থানমুখী স্কিম, যা মূলত বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য চালু করা হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই স্কিমটি ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর করা হয়।

    মূল উদ্দেশ্য

    • শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান।
    • চাকরির জন্য প্রস্তুত হতে বা ছোট ব্যবসা শুরু করার সুযোগ করে দেওয়া।
    • কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি ও দক্ষতা উন্নয়ন।

    সুবিধা

    1. মাসিক ভাতা (Unemployment Assistance):
      • নির্বাচিত শিক্ষিত বেকার যুবকদের প্রতি মাসে ₹ 1500 আর্থিক সহায়তা প্রদান।
    2. রেজিস্ট্রেশন সুবিধা:
      • কর্মসংস্থান ব্যাঙ্ক (Employment Bank)-এ নাম নথিভুক্ত করতে হয়।
      • এখান থেকে নাম অনুমোদন হলে ভাতা পাওয়া যায়।
    3. দক্ষতা উন্নয়ন:
      • চাকরি পাওয়ার পাশাপাশি যুবকদের skill development training দেওয়া হয়।

    যোগ্যতা (Eligibility)

    • পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
    • বয়সসীমা: সাধারণত ১৮ থেকে ৪৫ বছর
    • ন্যূনতম Madhyamik / Higher Secondary / Graduation পাশ করতে হবে (যোগ্যতার শর্ত অনুযায়ী)।
    • কোনো সরকারি চাকরি বা নিয়মিত আয় থাকা যাবে না।
    • নাম অবশ্যই Employment Bank-এ রেজিস্টার থাকতে হবে।

    আবেদন প্রক্রিয়া

    1. অনলাইনে Employment Bank Portal-এ রেজিস্ট্রেশন।
    2. দরকারি ডকুমেন্ট (Aadhaar, Educational Certificate, Bank Details ইত্যাদি) আপলোড।
    3. অনুমোদন হলে ভাতা সরাসরি DBT (Direct Benefit Transfer)-এর মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

    প্রকল্পের প্রভাব

    • রাজ্যের লক্ষাধিক যুবক-যুবতী এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।
    • আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি চাকরির জন্য দক্ষতা উন্নয়ন হচ্ছে।
    • বেকারত্ব মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

    পশ্চিমবঙ্গের অনেক রকমের প্রকল্প চালু আছে, কিন্তু আমরা এখানে সেইসব প্রকল্পের কথা আলোচনা করেছি যেগুলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত। কিংবা সেই সমস্ত প্রকল্প গুলো আলোচনা করেছি যেগুলো থেকে ইন্টারভিউ প্রশ্ন আসতে পারে আসতে পারে। যদি আপনাদের এই রকম আরো কোন প্রকল্পের কথা প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
    আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলটিতে যুক্ত হবেন।

    "My true belief is that potential alone does not define a person; it is the relentless pursuit of one’s aspirations that truly matters. I hold that every goal worth achieving demands unwavering dedication and sacrifice. One must also recognize that work and study cannot be pursued with equal intensity at the same moment—each requires its own commitment. Hence, clarity of purpose is essential: to decide consciously what path you wish to follow in life, and then to pursue it wholeheartedly with discipline and perseverance."

    Leave a Comment